Advertisement
০১ এপ্রিল ২০২৩

বড়জোড়ায় তাড়া খেয়ে হাতিরা ঢুকল জয়পুরে

দলমার ৯০টি হাতি নিয়ে গত একমাস ধরে নাকাল হচ্ছিল বন দফতরের বড়জোড়া রেঞ্জ। পুজোর মুখে ক্ষয়-ক্ষতি বেড়ে যাওয়ায় রোষের মুখে পড়ছিলেন বনকর্মীরা।

বাঁকুড়ার জয়পুরের নতুনগ্রামে।—নিজস্ব চিত্র।

বাঁকুড়ার জয়পুরের নতুনগ্রামে।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জয়পুর শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৫৪
Share: Save:

দলমার ৯০টি হাতি নিয়ে গত একমাস ধরে নাকাল হচ্ছিল বন দফতরের বড়জোড়া রেঞ্জ। পুজোর মুখে ক্ষয়-ক্ষতি বেড়ে যাওয়ায় রোষের মুখে পড়ছিলেন বনকর্মীরা। কিছুটা চাপে পড়েই গ্রামবাসীর সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় হাতি খেদানো অভিযান। শুক্রবার রাতে দলের প্রায় ৭৫টি হাতিকে এগিয়ে দেওয়া হয় সোনামুখীর জঙ্গলে। শনিবার রাতে সোনামুখী থেকে ফের খেদানো অভিযানে নামা হয়। রবিবার ভোরে দ্বারকেশ্বর নদ পার করে সেই হাতির পালকে নিয়ে আসা হয় জয়পুরের জঙ্গলে।

বড়জোড়ার রেঞ্জ অফিসার মোহন শীট বলেন, “দিন কয়েক আগে একটি বাচ্চা হওয়ায় ১৫টি হাতির ছোট একটি দল এখনও বড়জোড়ায় রয়ে গিয়েছে। বাকি ৭৫টি হাতিকে আমরা এ দিন ভোরে জয়পুরের জঙ্গলে পাঠাতে পেরেছি। থেকে যাওয়া বাকি হাতিগুলিকেও ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।” এ দিকে হাতির দলটি জয়পুরে ঢোকার মুখে দ্বারকেশ্বর নদ লাগোয়া কুশদ্বীপ, হিংজুড়ি, পাতলাপুর ইত্যাদি গ্রামে ফসলের কিছু ক্ষয়-ক্ষতি করেছে। জয়পুরের জঙ্গলে ঢুকেও মাচানতলা, চাপড়া, সাটপুকুর ইত্যাদি গ্রামেও তাণ্ডব চালাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, হাতিগুলিকে দ্রুত এলাকা থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। জয়পুরের রেঞ্জ অফিসার মনোজ যশ বলেন, “সামনে পুজো। হাতির দল যাতে এই সময় ঘাঁটি গেড়ে থেকে না যায় সেই জন্য খেদানো অভিযানে নামার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।” এ জন্য জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.