Advertisement
০১ মে ২০২৪
Visva Bharati University

পৌষমেলা করুক বিশ্বভারতী, সুভাষের অনুরোধ উপাচার্যকে

এ দিন বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুভাষ দত্ত। পৌষমেলা করার জন্য শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদানও দিয়েছেন সুভাষ। প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ উপাচার্য থাকাকালীন শেষবার পৌষমেলা হয়েছিল ২০১৯ সালে।

An image of Viswa Bharati University

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৪
Share: Save:

শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী মেলার মাঠে ফের পৌষমেলা আয়োজন করার অনুরোধ জানিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত বর্তমান উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। শুক্রবার বোলপুরে এ কথা জানানোর পাশাপাশি প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুলও তুলেছেন তিনি। সুভাষের দাবি, পৌষমেলা পরিবেশ আদালত বন্ধ করেনি। বরং মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য প্রাক্তন উপাচার্য ‘এক তরফা’ ভাবে মেলা বন্ধ করেছিলেন।

এ দিন বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুভাষ দত্ত। পৌষমেলা করার জন্য শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদানও দিয়েছেন সুভাষ। প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ উপাচার্য থাকাকালীন শেষবার পৌষমেলা হয়েছিল ২০১৯ সালে। এর পরের বছর করোনা এবং তার পরের দু’বছর পরিবেশ আদালতের নির্দেশ সহ একাধিক যুক্তি দেখিয়ে পৌষমেলার আয়োজন করেনি বিশ্বভারতী। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। বিশ্বভারতী না-করলেও ২০২১ ও ’২২ সালে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের তরফে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। গত বছর মেলায় ভিড়ও হয়েছিল চোখে পড়ার মতো।

তবে, বিশ্বভারতীই ফের পৌষমেলা আয়োজন করুক, এই দাবি গত কয়েক বছরে বারবার উঠেছে। এই অবস্থায় গত সপ্তাহে বিদ্যুতের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হতেই ফের পৌষমেলা নিয়ে আশা দেখতে শুরু করেছেন শান্তিনিকেতনের মানুষ। সম্প্রতি নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। এ বছর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা করবে কি না, সে ব্যাপারে তিনি সরাসরি কিছু না-বললেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মেলা করার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়াই দিয়েছেন নতুন উপাচার্য।

এর আগেও বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সুভাষ। বিদ্যুৎকে কটাক্ষ করে এ দিন এই পরিবেশকর্মী বলেন, “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আজ রাহুমুক্ত। পূর্ণাঙ্গ সূর্যগ্রহণ আর নেই। বিশ্বভারতীতে নতুন সূর্য উঠেছে। আমি বর্তমান অস্থায়ী উপাচার্যকে অনুরোধ করছি, এ বছরে পৌষমেলা যেন শান্তিনিকে ট্রাস্ট আয়োজন করে।’’ সুভাষের দাবি, অসংখ্য মানুষ এই মেলার দিকে তাকিয়ে থাকেন। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। এই মেলা প্রাক্তন উপাচার্য বন্ধ করে দিয়ে দোষ দিয়েছিলেন পরিবেশ আদালতকে। সুভাষের কথায়, ‘‘পরোক্ষে আমাকে অনেক গালমন্দ করেছিলেন। বিশ্বভারতী আজ রাহুমুক্ত হয়েছে, তাই আমিও কলঙ্কমুক্ত হতে এসেছি।’’

পৌষমেলার বিরোধী নন দাবি করে সুভাষ জানান, কয়েকটি পরিবেশ বিধি না-মানার জন্য তিনি আদালতে গিয়েছিলেন। তিনি চান পরিবেশ বিধি মেনে পৌষমেলা হোক মেলা প্রাঙ্গণেই। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, “মেলা করাই ট্রাস্টের প্রধান কাজ। তাই এ বার পৌষমেলার মাঠেই মেলা করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE