Advertisement
E-Paper

ফুটবল পায়ে দাপাল মেয়েরা

তবে খেলায় উত্তেজনা কম ছিল না। আগাগোড়া ম্যাচে জয়পুর প্রাধান্য রাখলেও প্রথমার্ধে কোনও গোল হয়নি। কাউন্টার অ্যাটাকে কুচিয়া ম্যাচ শুরু হওয়ার মিনিট দুয়েকের মধ্যে জয়পুরের গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল গোলে রাখতে পারেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ০১:২২
টক্কর: পুরুলিয়ার এমএসএ ময়দানে। নিজস্ব চিত্র

টক্কর: পুরুলিয়ার এমএসএ ময়দানে। নিজস্ব চিত্র

দিনটা তাদেরই। বল পায়ে মাঠ দাপিয়ে গ্যালারিকে সেটাই দেখিয়ে দিল পুরুলিয়ার কন্যাশ্রীরা।

শুক্রবার কন্যাশ্রী দিবসে পুরুলিয়ার মানভূম স্পোটর্স অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে বিকেলে কন্যাশ্রী কাপের ফাইনাল ফুটবল ম্যাচ হয়ে গেল। জয়পুর আর বি বি হাইস্কুল এবং বান্দোয়ান কুচিয়া হাইস্কুলের ছাত্রীদের ম্যাচ দেখতে কে না ছিলেন? দর্শকাসনে হাজির ছিলেন অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো থেকে জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়, ইউনিসেফের পদস্থ আধিকারিক থেকে বিশিষ্টজনেরা। কন্যাশ্রীদের উৎসাহ দিতে বার বার গ্যালারি থেকে হাততালি ভেসে এসেছে। দিনের শেষে জয়পুর আরবিবি হাইস্কুল ২-০ ফল করে শেষ হাসি হাসে।

তবে খেলায় উত্তেজনা কম ছিল না। আগাগোড়া ম্যাচে জয়পুর প্রাধান্য রাখলেও প্রথমার্ধে কোনও গোল হয়নি। কাউন্টার অ্যাটাকে কুচিয়া ম্যাচ শুরু হওয়ার মিনিট দুয়েকের মধ্যে জয়পুরের গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল গোলে রাখতে পারেনি।

প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে জয়পুর একটি পেনাল্টি পায়। জঙ্গলমহল কাপের সেরা খেলোয়াড় হওয়া শীলা বাগদির পা ছুঁয়ে বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়।

তাই ফল কী হয়, তা নিয়ে উদ্বেগ ছিলই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে জয়পুরের হয়ে পূজা বাগদি ও শীলা বাগদি দু’টি গোল করে।

জেলা যুবকল্যাণ দফতরের আধিকারিক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় জানান, গত অক্টোবরে কন্যাশ্রী কাপের খেলা শুরু হয় ব্লকস্তরে। জেলার ২০টি ব্লকে মোট ১৫০টি দল যোগ দিয়েছিল। প্রতি ব্লকের চ্যাম্পিয়ন দল নিয়ে আঞ্চলিক স্তরের ম্যাচ থেকে মোট ছ’টি স্কুল দল মহকুমাস্তরে সুপার সিক্সে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সুপার সিক্স পর্যায় থেকে চারটি দল সেমিফাইনালে পৌঁছয়। বরাবাজারের বামুনডিহা হাইস্কুলকে হারিয়ে জয়পুর এবং পুরুলিয়া ১ ব্লকের টামনা বিদ্যাসাগর আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়কে হারিয়ে কুচিয়া ফাইনালে ওঠে।

গতবার প্রথম কন্যাশ্রী কাপ ফুটবল শুরু হয়েছিল পুরুলিয়া থেকেই। ইউনিসেফের পুরুলিয়ার দায়িত্বে থাকা অনিরুদ্ধ রায় বলেন, ‘‘কন্যাশ্রীর মেয়েদের নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা কিন্তু পুরুলিয়াতেই প্রথম হয়েছে।’’

এ দিন সকাল থেকে মানবাজার মহকুমায় নানা অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। তাঁর কথায়, ‘‘সকাল থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু দুপুর হতেই ঠিক করি, পুরুলিয়ায় মেয়েদের খেলা দেখতে যেতেই হবে। মেয়েরা ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে ফুটবল নিয়ে মাঠ মাতাচ্ছে, এটা কন্যাশ্রীর মেয়েদের সাফল্য।’’ জেলাশাসকের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওদের দক্ষতায় সবাই মুগ্ধ।’’

Football Girls মানভূম স্পোটর্স অ্যাসোসিয়েশন Kanyashree Dibas কন্যাশ্রী দিবস
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy