অনুষ্ঠানে মন্ত্রী।—নিজস্ব চিত্র।
জুতো হাতে, ধুতি গুটিয়ে নদী পার হলেন বিধায়ক। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশা, এ বারে আর সাইকেল কাঁধে নিয়ে নদী ডিঙোতে হবে না পড়ুয়াদের। ভরা বর্ষায় নদীতে জল কমার আশায় রোগী নিয়ে ঘাটে অপেক্ষা করতে হবে না পরিজনদের। রবিবার কোটশিলার পারগা নদীর উপরে সেতুর শিলান্যাস হল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে জুড়তে চলেছে নদীর দুই পাড়ের গ্রামগুলি।
ঝালদা ২ ব্লকের টাটুয়াড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পারগা নদী। দু’পাশে ধবনি, অঝুডি, টাটুয়াড়া, শ্যামপুর, নতুনডি, ডামরা, হিজুলি গ্রামগুলি। বাসিন্দা গোপাল কুমার জানান, পড়তে টাটুয়াড়াতে যেতেই হোক বা চিকিৎসার জন্য জয়পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে— স্থানীয় মানুষজনের নদী পেরোতে গিয়ে সমস্যার একশেষ হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর কুড়ি আগে সেতু গড়ার জন্য নদীর বুকে কয়েকটি স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও অজানা কারণে সেই কাজ থমকে যায়।
শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে স্থানীয় বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতোকেও জুতো হাতে নিয়ে, ধুতি গুটিয়ে জল ভেঙে অন্য পাড়ে যেতে হয়। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর গাড়িও নদীর জল ভেঙে পার হয়। শক্তিপদবাবু বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ অনেক দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেতু গড়ার বন্দোবস্ত হওয়ায় ভাল লাগছে।’’ মন্ত্রী শান্তিরামবাবু বলেন, ‘‘পারগা নদীতে যত দিন জল থাকে, মানুষজনের খুবই অসুবিধা হয়। অনেকেবার সেতু গড়ার দাবি এসেছে।’’ তাঁর দফতর সেতু গড়তে ৯৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে বলে শান্তিরামবাবু জানান।
বাসিন্দারা জানান, নদীর এক পাড়ের গ্রামগুলি ঝালদা ২ ব্লকের মধ্যে পড়ে। কিন্তু বিভিন্ন কাজে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের দূরে জয়পুরে যাতায়াত করতে হয় তাঁদের। ব্লক সদরে যেতে হয় ঘুরপথে। জেলা সদর পুরুলিয়ায় যেতে হলে জয়পুর হয়েই গেলেই রাস্তা কম হয়। তাই নদীর উপরে সেতুর প্রয়োজন বরাবরই ছিল। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বিডিও (ঝালদা ২) দীপক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ব্লকের দায়িত্ব পাওয়ার পরে জেলাশাসক পনেরো দিন ধরে এলাকা ঘুরতে বলেছিলেন। সেই সময় সেতু গড়ার প্রয়োজনের কথা জেলাশাসককে জানিয়েছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy