Advertisement
E-Paper

শংসাপত্র দেবে রাজ্য

কেউ চাষের কাজে দড়। কেউ বিদ্যুতের কাজ ভাল জানেন। কারও রান্নার হাত ভাল বলে জানে গাঁয়ের পাঁচ জনে। কিন্তু হোঁচট খেতে হয় একটা কাগুজে শংসাপত্রে এসে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:২১
মঞ্চে: নিস্তারিণী মহিলা কলেজের অডিটোরিয়ামে। নিজস্ব চিত্র

মঞ্চে: নিস্তারিণী মহিলা কলেজের অডিটোরিয়ামে। নিজস্ব চিত্র

কেউ চাষের কাজে দড়। কেউ বিদ্যুতের কাজ ভাল জানেন। কারও রান্নার হাত ভাল বলে জানে গাঁয়ের পাঁচ জনে। কিন্তু হোঁচট খেতে হয় একটা কাগুজে শংসাপত্রে এসে। দক্ষ শ্রমিক হিসাবে যতটা পাওয়ার কথা, সেই মতো মজুরি মেলে না। এ বারে তাই রাজ্য কারিগরি শিক্ষা প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন দফতর তাঁদের শংসাপত্র দেবে। শুক্রবার পুরুলিয়ায় দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করতে এসে এ কথা জানালেন দফতরের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।

এ দিন ‘উৎকর্ষ বাংলা’ নামে বিভিন্ন ক্ষেত্রের শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সূচনা করতে পুরুলিয়ার নিস্তারিণী কলেজের অডিটোরিয়ামে এসেছিলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন ক্ষেত্রের শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী দু’বছর আগে প্রকল্পটির কথা ঘোষণা করেছেন।’’

তিনি জানান, চলতি বছর সরকারের লক্ষ্য রাজ্যের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া। সেই প্রশিক্ষণ তাঁদের জীবিকার কাজে আসবে। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘যাঁরা দক্ষ কিন্তু শংসাপত্র নেই, তাঁরা কাজের বাজারে উপযুক্ত পারিশ্রমিক পান না। এই দক্ষ শ্রমিকদের জাতীয় মানের শংসাপত্র দেবে রাজ্য সরকার।’’ কোথায় গেলে প্রশিক্ষণ পাবেন দক্ষ শ্রমিকেরা? মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা প্রথমে জেলায়, পরে মহকুমা স্তরে, তারও পরে ব্লকে অফিস খোলা হবে। সেখানে গিয়ে শ্রমিকেরা যোগাযোগ করবেন।’’

মন্ত্রী জানান, আগামী দিনে বিভিন্ন ডিজিট্যাল ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বাড়তে পারে ভেবে কোর্স রাখা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপের মেরামতি শেখানোয়। মফস্সলের কথা মাথায় রেখে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে চাষেও। প্রতিটি জায়গায় শিক্ষার্থীদের জলখাবারের জন্য ৫০ টাকা করে রাজ্য সরকার দেবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

দফতর সূত্রের খবর, যাঁদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁরা কেমন কাজ করছেন দেখেই সরকার কিস্তিতে প্রাপ্য টাকা দেবে। পুরুলিয়ায় যে সংস্থা প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে, সেটির তরফে সুজিতকুমার মাহাতো বলেন, ‘‘জেলায় লাক্ষা চাষ, নার্সারির কর্মী, পোল্ট্রি ফার্ম, জৈব চাষ, বীজ তৈরির প্রশিক্ষণ, মৌমাছি চাষ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তালিম দেব।’’

এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি প্রতিমা সোরেন, জেলা পরিষদের সদস্য হলধর মাহাতো প্রমুখ।

Purnendu Basu Skill development Certificate
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy