Advertisement
০১ এপ্রিল ২০২৩
শোরগোল বিশ্বভারতীতে

স্বপনের বিরুদ্ধে হেনস্থার নালিশ মহিলা কমিশনে

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন দত্তের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিশ্বভারতীর শিল্পসদনের ডিজাইন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান পদ্মিনী বলরাম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৬ ০৮:৫৫
Share: Save:

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন দত্তের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিশ্বভারতীর শিল্পসদনের ডিজাইন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান পদ্মিনী বলরাম। গত ২০ মে পদ্মিনীদেবী লিখিত ভাবে কমিশনে ওই চিঠি দিলেও বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়েছে শান্তিনিকেতনে।

Advertisement

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন স্বপনবাবু। তাঁর দাবি, ‘‘ওই বিভাগে ছাত্র আন্দোলনের জেরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। পদ্মিনীদেবীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে কমিটিও গঠন হয়েছে। তদন্তে স্বচ্ছতার কারণেই ওই অধ্যাপিকাকে বিভাগীয় প্রধানের পদ সরানো হয়েছে। তারই জেরে এখন এই অভিযোগ উঠছে।’’

প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও স্নাতকোত্তর ও গবেষণার মতো উচ্চশিক্ষা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে গত ১৯ মার্চ থেকে ক্লাস বয়কট শুরু করেন বিভাগের পড়ুয়ারা। বিভাগীয় প্রধানের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবিও তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। পদ্মিনীদেবীর অভিযোগ, ‘‘পড়ুয়াদের দাবি মেটানোর জন্য আমি সর্বত ভাবে চেষ্টা করেছি। তার পরেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বৈঠকের নামে চার ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল জরুরি বৈঠক ডেকে আমাকে পদত্যাগের জন্য জোর করা হয়। পদত্যাগ না করলে তদন্ত কমিটি পড়ার হুমকিও দেন স্বপনবাবু।’’ এই পরিস্থিতিতে গত ৭ এপ্রিল তাঁকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরানো হয়েছে জানিয়ে কর্তৃপক্ষ চিঠি দেন বলে পদ্মিনীদেবীর দাবি। তাঁর আরও দাবি, ‘‘স্বপনবাবুর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাখা কমিটিতে আমি বিচার পাব না। তাই ন্যায্য বিচারের আশায় রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি।’’

শুধু পদ্মিনীদেবীই নন, স্বপনবাবুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে দিন কয়েক আগেই সরব হয়েছিল ‘বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন’ নামে অধ্যাপকদের একটি সংগঠন। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে তারা পদ্মিনীদেবীকে পদে ফেরনোর জন্য স্মারকলিপিও দিয়েছিল। এ দিকে, ছাত্র আন্দোলনের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আলোচনায় বসেও সমাধান মেলেনি। এ নিয়ে শ্রীনিকেতনের অধিকর্তা সবুজকলি সেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ার পরে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়। তার পরেই পদ্মিনীদেবীর পাল্টা অভিযোগকে ঘিরে নয়া বিতর্ক শুরু হয়েছে বিশ্বভারতীর অন্দরে।

Advertisement

ধৃত যুবক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি ও ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের দু’কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বড়ঞা থানার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল বড়ঞার হাপিনা গ্রামের বাসিন্দা সেন্টু দাস ও বড়ঞার শ্রীহট্টি গ্রামের বাসিন্দা লালন ভল্লা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.