বিশ্বভারতীর প্রাচীন ইতিহাস বিভাগের সংগ্রহশালায় দুষ্প্রাপ্য মুদ্রা এবং শিল্পসামগ্রী দান করলেন বিশিষ্ট মুদ্রা তত্ত্ববিদ শঙ্করকুমার বসু। শুক্রবার একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শঙ্করবাবু বিশ্বভারতীর উত্তরায়ণের উদয়ন বাড়িতে ওই সমস্ত সামগ্রী সহ-উপাচার্য স্বপনকুমার দত্তের হাতে তুলে দেন। পরে স্বপনবাবু বলেন, “শঙ্করবাবুর এই দান ভবিষ্যতে ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকদের কাজে আসবে। বিশ্বভারতীর সংগ্রহশালা আরও সমৃদ্ধ হল।”
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, কলকাতার সল্টলেকের বাসিন্দা শঙ্করবাবু পেশায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক অফিসার। কর্মসূত্রে উত্তর-পূর্ব ভারতে মুদ্রা সংগ্রহের নেশা ছিল তাঁর। এ নিয়ে তাঁর বেশ কিছু বইও রয়েছে। এ দিন ওই অনুষ্ঠানে শঙ্করবাবু বলেন, “৬৭টি প্রাচীন মুদ্রা এবং প্রায় দু’হাজার বছরের পুরনো টেরাকোটা, পাথর, বীজ এবং হাড়ের নানা শিল্প সামগ্রী বিশ্বভারতীর সংগ্রহশালাকে দিলাম। তাতে রয়েছে প্রায় দু’হাজার বছরের পুরনো টেরাকোটার ২৭টি শিল্পকর্ম, বীজ, পাথর এবং হাড়ের ১৯টি শিল্প কর্ম, স্বাধীন ত্রিপুরা, কোচবিহার, সিকিমের নন-জুডিশিয়াল চারটি স্ট্যাম্প। মুদ্রার মধ্যে রয়েছে চন্দ্রকেতুগড়ের রুপো, তামা, বিল্লন ধাতুর ২৩টি মুদ্রা, ওয়ারি বটেশ্বর, মহাস্থানগড়ের রুপো, সিলিকন এবং রুথেনিয়ামের দু’টি মুদ্রা, অষ্টম ও নবম শতাব্দীর রুপোর হরিকেলা মুদ্রা ১২টি, তামা কুশান এবং সাইথিয়ান-এর ২৬টি মুদ্রা। তা ছাড়াও হর্ষবর্ধন, গান্ধার রুপো নিয়ে ৪টি মুদ্রা। রয়েছে কুচ কিংডম, মণিপুর, জয়ন্তাপুর নিয়ে মুদ্রা সম্পর্কিত চারটি বই।’’ এ দিন তিনি বিশ্বভারতীর সংগ্রহে দিয়েছেন মুদ্রা বিষয়ক ১৭টি আলোকচিত্রও।
এ দিনের ওই অনুষ্ঠানে শঙ্করবাবু প্রাচীন ইতিহাসের ছাত্রহাত্রী এবং গবেষকদের অবিভক্ত বাংলার প্রাচীন মুদ্রা, শিল্প কর্ম এবং বিশ্বভারতীর সংগ্রহে দেওয়া মুদ্রা, শিল্পকর্ম বিষয়ক পিপিটি উপস্থাপনা করেন। এ দিনের ওই অনুষ্ঠানে প্রোভোস্ট তপতী মুখোপাধ্যায়, বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষ মধুসূদন ঘোষ, প্রাচীন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গৌতম সেনগুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy