Advertisement
E-Paper

রোগী মৃত্যু ঘিরে ঝামেলা মেডিক্যালে

ফের রোগী পক্ষ ও ইন্টার্নদের মধ্যে ঝামেলার জেরে উত্তেজনা ছড়ালো বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এক রোগিণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোমবার ঝামেলা বাধে দু’পক্ষের। রোগিণীর আত্মীয় ও জুনিয়র ডাক্তাররা পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে হাসপাতাল সুপারের কাছে বিক্ষোভ দেখান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪৫

ফের রোগী পক্ষ ও ইন্টার্নদের মধ্যে ঝামেলার জেরে উত্তেজনা ছড়ালো বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এক রোগিণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোমবার ঝামেলা বাধে দু’পক্ষের। রোগিণীর আত্মীয় ও জুনিয়র ডাক্তাররা পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে হাসপাতাল সুপারের কাছে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার পর দিনভর হাসপাতালে কাজে যোগ দেয়নি ইন্টার্নরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া সদর থানার জলহরি গ্রামের বাসিন্দা রাকিসা বেগম (২১) এ দিন সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন বাঁকুড়া মেডিক্যালে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরেই ওয়ার্ডে উপস্থিত রাকিসার আত্মীয় ও ইন্টার্নদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। রাকিসার পিসতুতো দাদা জালালুদ্দিন মিদ্যার অভিযোগ, “হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে শারীরিক অবস্থা তুলনামূলক ভালই ছিল বোনের। তার পরেও কী ভাবে ও মারা গেল, এটুকু জানতে চাওয়াতেই ইন্টার্নরা আমাদের মারধর করে।’’ ইন্টার্নদের পাল্টা দাবি, রাকিসা মারা যাওয়ার পরে তাঁর আত্মীয়েরা ওয়ার্ডে উপস্থিত এক মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের চুলের মুঠি ধরে ওয়ার্ডের মেঝেয় ফেলে মারধর করেন। তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। ঝামেলার পরেই হাসপাতালের ইন্টার্নরা কাজ বন্ধ করে সুপারের কাছে এসে বিক্ষোভ দেখান ওয়ার্ডে নিরাপত্তার দাবিতে। অন্য দিকে সুপারের অফিসের বাইরে মৃতার পরিবারের ও গ্রামের লোকজন বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “মৃত রোগীর আত্মীয়দের তরফে আমার কাছে ইন্টার্নদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করা হয়নি। তবে এক মহিলা ইন্টার্নকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশের কাছে হাসপাতালের তরফে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’

ইন্টার্নরা এ দিন কাজে যোগ না দেওয়ায় অবশ্য হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হয়নি বলেই জানিয়েছেন সুপার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ৯৬ জন ইন্টার্ন রয়েছেন। এ দিন তাঁরা কাজ না করায় হাউস্টাফ, পিজিটি, এমও, আরএমও-দের রুটিন বানিয়ে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে এই হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের ঝামেলার ঘটনা কার্যত রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও ঝামেলার পরেই জুনিয়র ডাক্তারেরা নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। তার জেরে হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হয়। এ দিনের ঘটনার পরে রাত পর্যন্ত অবশ্য ইন্টার্নরা কর্মবিরতির কথা ঘোষণা না করলেও হাসপাতালের কাজে যোগ দেননি। হাসপাতাল সুপারের কথায়, “এ দিন যে-ভাবে এক জন মহিলা ইন্টার্নকে মারধর করা হল, তা সমর্থন যোগ্য নয়। এই সব ঘটনা এড়াতে হাসপাতালে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করার দাবি পুলিশকে জানাবো।’’

medical negligence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy