Advertisement
১৯ মে ২০২৪

মিড-ডে মিলে স্বনির্ভরতার ‘আস্বাদ’ যোগ

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়পুরের বড়গ্রামের ‘মমতাময়ী মহিলা সঙ্ঘ’-এর দশ জন মহিলাকে নিয়ে ওই প্রকল্প শুরু হয়েছে। হলুদ, ধনে, জিরে আর লঙ্কাগুঁড়ো তৈরি করবেন তাঁরা। আর বানাবেন ‘মিট মশালা’। ‘আস্বাদ’ ব্র্যান্ড নাম দিয়ে শুরু হয়েছে পথচলা।

পরিদর্শন: উদ্বোধনের পরে জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র

পরিদর্শন: উদ্বোধনের পরে জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জয়পুর শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৮:১০
Share: Save:

স্বনির্ভর দলের মহিলারা চাষ করেছেন হলুদ। সেই হলু গুঁড়ো করেছেন আর এক দলের মহিলারা। আর সেই গুঁড়ো মশলায় রঙ ধরেছে তৃতীয় কোনও স্বনির্ভর দলের মহিলাদের মিড-ডে মিল রান্নায়। অচিরেই হতে পারে এমনটা।

বুধবার পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকে স্বনির্ভর দলের মহিলাদের গুঁড়ো মশলা তৈরির প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়পুরের বড়গ্রামের ‘মমতাময়ী মহিলা সঙ্ঘ’-এর দশ জন মহিলাকে নিয়ে ওই প্রকল্প শুরু হয়েছে। হলুদ, ধনে, জিরে আর লঙ্কাগুঁড়ো তৈরি করবেন তাঁরা। আর বানাবেন ‘মিট মশালা’। ‘আস্বাদ’ ব্র্যান্ড নাম দিয়ে শুরু হয়েছে পথচলা।

‘আনন্দধারা’ প্রকল্পে গুঁড়ো মশলা তৈরির এই উদ্যোগ। ওই সঙ্ঘ প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খরচ করে কিনেছে মশলা পেষাই-এর যন্ত্র, কাঁচামাল। কিছুটা সঙ্ঘের মূলধন থেকে। বাকিটা সদস্যরাই জোগাড় করেছেন। স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতরের জেলার আধিকারিক অমল আচার্য জানান, খোলা বাজারে বিক্রির জন্য পেশাদার ভাবে মশলা প্যাকেটজাত করার বন্দোবস্ত হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, জেলা শহরের শপিং মল এবং হোলসেল বাজারে মশলা বিক্রি করা হবে। বাজার চলতি মশলার থেকে দামও রাখা হয়েছে অনেকটাই কম। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হলুদ বা ধনে গুঁড়োর একশো গ্রামের প্যাকেটের দাম ধার্য করা হয়েছে কুড়ি টাকা। জিরে, মিট মশালা বত্রিশ টাকা। লঙ্কা গুঁড়োর পঁচিশ টাকা। জেলার অনেক স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিকল্প চাষ হিসেবে হলুদ, ধনে প্রভৃতি ফলাচ্ছেন। কাঁচামাল হিসেবে সেগুলি মমতাময়ী সঙ্ঘের সদস্যরা কিনতে পারবেন।

প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে জেলাশাসক জানান, ওই মশলার স্থায়ী বাজার তৈরির চেষ্টা চলছে। এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, স্কুলের মিড-ডে মিল এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর পরিচালিত হস্টেলের রান্নায় যাতে এই মশলা ব্যবহার করা হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে।’’ স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতরের আধিকারিক অমলবাবু বলেন, ‘‘স্থায়ী বাজার তৈরি হলে প্রকল্পটি বাড়িয়ে আরও বেশি সংখ্যক মহিলাকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ পরবর্তী সময়ে জেলার প্রতিটি মহকুমায় স্বনির্ভর দলের সঙ্ঘের মহিলাদের নিয়ে একটি করে এই ধরনের প্রকল্প তৈরির ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Curry-powder মিড-ডে mid-day meal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE