Advertisement
E-Paper

শিক্ষকেরা অনিয়মিত, স্কুলে তালা

শিক্ষকদের অনিয়মিত হাজিরা এবং একাধিক অনিয়মের প্রতিবাদে প্রাইমারি স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিলেন অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার থেকে বরাবাজারের রানসী প্রাইমারি স্কুলে তালা ঝুলছে। বন্ধ পঠনপাঠনও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৯

শিক্ষকদের অনিয়মিত হাজিরা এবং একাধিক অনিয়মের প্রতিবাদে প্রাইমারি স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিলেন অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার থেকে বরাবাজারের রানসী প্রাইমারি স্কুলে তালা ঝুলছে। বন্ধ পঠনপাঠনও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরাবাজারের রানসী প্রাইমারি স্কুলে এক পার্শ্বশিক্ষিকা-সহ তিন জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। অভিভাবকদের মধ্যে প্রভাত মাহাতো, সন্দীপ মাহাতো, বলরাম মাহাতোদের অভিযোগ, ‘‘স্কুলে তিনজন শিক্ষকশিক্ষিকা থাকলেও এক সাথে তাঁদের সবাইকে স্কুলে দেখা যায় না। শিক্ষকেরা পালা করে স্কুলে আসেন। আবার দেরি করে এসে তাড়াতাড়ি চলে যান। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।’’ মিড-ডে মিলও নিয়মিত রান্না হয় না বলেও অভিযোগ।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দেরিতে প্রধান শিক্ষক স্কুলে এলেও তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরেই স্কুলের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার শিক্ষক-শিক্ষিকারা সবাই স্কুলে এলেও তালা দেওয়া থাকায় ঢুকতে পারেননি। শনিবার নববর্ষ উপলক্ষ্যে স্কুল ছুটি ছিল। বাসিন্দাদের দাবি, ওই শিক্ষকরা যতক্ষণ না নিয়মিত স্কুল আসার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, ততক্ষণ তালা খোলা হবে না।

বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তাঁরা কয়েকবার স্কুলে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা আমল দেননি। কয়েকদিন আগে তাঁরা স্কুলের সমস্যা নিয়ে লিখিত ভাবে বিডিও, স্কুল পরিদর্শক এবং পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতিকে জানিয়েছেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকান্ত মুর্মুর ফোন বেজে গেলেও তোলেননি। জবাব দেননি এসএমএসেরও।

বরাবাজার ৩ চক্রের ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক বিশ্বরূপ হালদার অবশ্য স্কুলে তালা পড়ার খবর জানতেন না। তিনি বলেন, ‘‘ওই স্কুলে তালা দেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে কয়েকদিন আগে কয়েকজন গ্রামবাসী ওই স্কুলে শিক্ষকদের অনিয়মিত হাজিরা-সহ স্কুল সম্পর্কে তাদের কিছু অভিযোগের কথা জানিয়েছে। প্রধান শিক্ষককে ডেকেছি।’’

বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রতুল মাহাতো বলেন, ‘‘স্কুলে তালা দেওয়াকে আমি সমর্থন করি না। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, দীর্ঘদিনের ক্ষোভেই বাসিন্দারা তালা ঝুলিয়েছেন।’’ তিনি জানান, আজ সোমবার বিডিও, স্কুল পরিদর্শক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে স্কুলে পঠন পাঠনের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বৈঠকে বসবেন।

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি হেমন্ত রজকও ঘটনাটি শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

Protest Teacher Student Ransi Primary School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy