Advertisement
১১ মে ২০২৪
IIT

কলেজে প্রস্তুতি নিয়েই আইআইটিতে লক্ষ্যভেদ

কাশীপুর ব্লকের ভালাগোড়া গ্রামের বাসিন্দা ইতির ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক। সোনাইজুড়ি আঞ্চলিক হাইস্কুল থেকে তিনি মাধ্যমিকে পান ৯১ শতাংশ নম্বর।

ইতি মাহাতো। নিজস্ব চিত্র

ইতি মাহাতো। নিজস্ব চিত্র

প্রশান্ত পাল 
কাশীপুর শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ০৯:১২
Share: Save:

আইআইটিতে মাস্টার্স ডিগ্রির পড়াশোনার সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল করেছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর কলেজের ছাত্রী ইতি মাহাতো। আইআইটি জ্যাম (জয়েন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট ফর এমএসসি) পরীক্ষায় তাঁর র‌্যাঙ্ক ১৪।

কাশীপুর ব্লকের ভালাগোড়া গ্রামের বাসিন্দা ইতির ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক। সোনাইজুড়ি আঞ্চলিক হাইস্কুল থেকে তিনি মাধ্যমিকে পান ৯১ শতাংশ নম্বর। বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের কমলপুর নেতাজি হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞানে ৯০ শতাংশ নম্বর পান উচ্চ মাধ্যমিকে। বর্তমানে তিনি রঘুনাথপুর কলেজে রসায়নে সাম্মানিক স্নাতক করছেন।

ভালাগোড়া গ্রাম থেকে রঘুনাথপুরে সরাসরি বাস যোগাযোগ নেই। দৈনিক কমবেশি সাত কিলোমিটার পথ সাইকেলে গিয়ে বড় রাস্তায় এসে তাঁকে কলেজে যাওয়ার বাস ধরতে হয়। প্রথম বারেই চেষ্টাতেই এই পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছেন তিনি। ইতির কথায়, ‘‘ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান ভাল লাগে। আইআইটিতে পড়ার স্বপ্ন দেখতাম। তাই এই পরীক্ষাটা দিই। মঙ্গলবার পরীক্ষার ফল বেরোতে দেখি ১৪ নম্বরে আমার নাম!’’

প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা। পরীক্ষায় প্রস্তুতির প্রশিক্ষণেরও সুযোগ নেই এলাকায়। ইতির জবাব, ‘‘আলাদা করে সে ভাবে কোনও প্রস্তুতি নিইনি। কলেজের শিক্ষকেরাই প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছেন। শুধু এই পরীক্ষাই নয়, বিভিন্ন সময়ে আমরা কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে এমন ভাবে সহায়তা পাই যে আলাদা করে কোনও প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।’’ তাঁর আশা, মুম্বই আইআইটি-তে তিনি পড়ার সুযোগ পেতে পারেন। স্নাতকোত্তরের পরে গবেষণা করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।

রঘুনাথপুর কলেজের অধ্যক্ষ ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণেই ইতি সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১৪ র‌্যাঙ্ক করেছেন। এটা যেমন তাঁরা মেধার প্রমাণ, তেমনই কলেজের পঠনপাঠনের মানের ছবিও তুলে ধরেছে। ইতি অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত।’’

বাবা ভীমচন্দ্র মাহাতো সোনাইজুড়ি হাই স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক। মা কল্যাণী মাহাতো গৃহবধূ। বাবা ভীমচন্দ্র বলেন, ‘‘মেয়ের বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক থাকায় তাকে কমলপুর নেতাজি হাই স্কুলে ভর্তি করেছিলাম। লেখাপড়ার জন্য যতটা সম্ভব ওকে সহায়তা করেছি। গ্রামের গণ্ডি ছাড়িয়ে এবার তাকে সর্বভারতীয় স্তরে পড়াশোনা করতে যেতে হবে। বড় হয়ে দেশের সেবা করলে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে।’’a

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

IIT Kashipur raghunathpur college
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE