Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Jhalda

ডিভিশন বেঞ্চে গেল তৃণমূল ও রাজ্য সরকার

কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, আদালত তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলা গ্রহণ করেছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি মামলাগুলির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

কলকাতা হাই কোর্ট।

কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:১০
Share: Save:

হেরে যাওয়া দলের পুরপ্রতিনিধিকে বার বার পুরুলিয়ার ঝালদার পুরপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ সম্প্রতি সরকার পক্ষের কৌঁসুলিকে প্রশ্ন করেছিলেন। সে দিনই তিনি রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের ঝালদার পুরপ্রধান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির উপরে অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেন। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে এ দিন তৃণমূলের তরফেও হাই কোর্টে একটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, আদালত তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলা গ্রহণ করেছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি মামলাগুলির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ১৮ জানুয়ারি দলত্যাগ-বিরোধী আইনে ঝালদার নির্দল পুরপ্রতিনিধি শীলা চট্টোপাধ্যায়ের পুরপ্রতিনিধি পদ খারিজ করেন ঝালদার এসডিও ঋতম ঝা। এ নিয়ে শীলা আদালতে মামলা করলে বিচারপতি অমৃতা সিংহ এসডিও-ওর ওই নির্দেশের উপরেও অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেন। কেন স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে এ দিন ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলের সুরেশ আগরওয়াল। সুরেশ বলেন, ‘‘ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছি। সেখান থেকে সদর্থক রায় মিলবে বলে আমি আশাবাদী।’’

কৌস্তভ জানান, কিছু দিন আগে তৃণমূলের প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারের তরফে দায়ের করা একটি মামলারও আগামী ৩১ জানুয়ারি শুনানির কথা। কংগ্রেসের ডাকা তলবিসভা আটকানোর দাবি নিয়ে ওই মামলাটি করেছিলেন সুদীপ।

রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের তরফে দায়ের করা জোড়া মামলা নিয়ে পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘তৃণমূলের কাছে ভাল কিছু আশা করাটাই বোকামি। এরা আইন-কানুন, বিচার কিছুই মানেন না। ক্ষমতালোভী এমন দল আগে দেখিনি। তবে তারা যে বেঞ্চেই যান, সেখানেই তাদের পরাজয় হবে। আইনি লড়াইয়ের জন্য আমরা তৈরি রয়েছি।’’

তবে মন্তব্য করতে চাননি শীলা। হাই কোর্টের নির্দেশে বর্তমানে পুরপ্রধান পদে থাকা নিহত কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ‘‘আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি কিছু একটা রহস্য কোথাও লুকিয়ে রয়েছে। তা না হলে শাসকদল ছোট্ট একটি পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখতে এতটা মরিয়া কেন?’’

যদিও তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার দাবি, ‘‘প্রশাসন আইন মেনেই ওই পুরপ্রতিনিধির পদ খারিজের নির্দেশ দিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার অধিকার সবারই রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE