Advertisement
১৮ মে ২০২৪
আড়শা

যুগ্ম বিডিওকে মারধরের নালিশ

তিনি ডাকা সত্ত্বেও যাননি যুগ্ম বিডিও। সেই ‘অপরাধে’ যুগ্ম বিডিওকে ব্লক অফিস চত্বরেই মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক কর্মাধ্যক্ষের স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির ঘটনা। যদিও পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে যুগ্ম বিডিওর সঙ্গে মহিলা কর্মাধক্ষ্যের স্বামীর তর্ক-বিতর্কের কথা স্বীকার করা হলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৫ ০২:৪০
Share: Save:

তিনি ডাকা সত্ত্বেও যাননি যুগ্ম বিডিও। সেই ‘অপরাধে’ যুগ্ম বিডিওকে ব্লক অফিস চত্বরেই মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক কর্মাধ্যক্ষের স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির ঘটনা। যদিও পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে যুগ্ম বিডিওর সঙ্গে মহিলা কর্মাধক্ষ্যের স্বামীর তর্ক-বিতর্কের কথা স্বীকার করা হলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

টেন্ডার ডাকার দিনক্ষণ বাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্কের জেরে বুধবারই পুরুলিয়া ২ বিডিওকে তাঁর অফিসের মধ্যে ঘেরাও করেছিলেন ওই পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যেরা। তার পরেই দিনই প্রশাসনের এক আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ উঠল আড়শায়। এতে প্রশাসনের আধিকারিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পরে পুরুলিয়া (পশ্চিম) মহকুমাশাসক নিমাইচাঁদ হালদার বলেন, ‘‘ঘটনার কথা সবে শুনেছি। আমি যুগ্ম বিডিওকে পুলিশের কাছে এফআইআর করতে বলেছি।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। আড়শা পঞ্চায়েত সমিতিতে সার্ভিস কমিউনিটি প্রোভাইডার পদে কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত। ব্লকের যুগ্ম বিডিও স্বর্ণকমল চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিমা মাহাতোর স্বামী বিদ্যাধর মাহাতো ওই পদে কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছিলেন। আমি তাঁকে জানিয়েছিলাম, এই নিয়োগের বিষয়টি পুরোপুরি জেলা থেকে দেখা হচ্ছে। কিন্তু সে কথা তিনি মানতে রাজি হননি। ওই বিষয়টি নিয়ে এ দিন বিকেলে তিনি ফের আমাকে কর্মাধ্যক্ষদের চেম্বারে ডেকে পাঠান। আমি সেখানে যেতে অস্বীকার করে, তাঁকে গয় বিডিও-র চেম্বারে না হলে সভাপতির চেম্বারে আসবতে বলি।’’ যুগ্ম বিডিও-র এই আপত্তিকে কেন্দ্র করে ব্লকে সাময়িক উত্তেজনাও ছড়ায়। যুগ্ম বিডিও-র অভিযোগ, ‘‘অফিস থেকে বের হওয়ার সময়ে বিদ্যাধর মাহাতোর সঙ্গে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর হঠাৎ তিনি সবার সামনেই আমাকে কিল, চড়, ঘুসি মারতে থাকেন। গালিগালাজও করা হয়। উপস্থিত লোকজন ও পুলিশকর্মীরা ছুটে এসে আমাকে বাঁচান।’’ বৃহস্পতিবার রাতে আড়শা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যুগ্ম-বিডিও।

পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শেখ সালে মহম্মদের দাবি, ‘‘যুগ্ম বিডিওকে মারধর করা হয়েছে এই অভিযোগ ঠিক নয়। ব্লকে ত্রিপল বিলি সমস্যা হচ্ছিল। তাই পরামর্শের জন্য জয়েন্ট বিডিও-কে আমার অফিসে ডেকে পাঠাই। তিনি আসতে চাননি। পরে বাইরে বেরিয়ে তিনি আমাদের এক কর্মাধ্যক্ষের স্বামীর নাম উল্টোপাল্টা কথা বলতে থাকেন। ওই কর্মাধ্যক্ষের স্বামী আপত্তি করেন মাত্র। একটু তর্ক-বিতর্ক ছাড়া আর কিছু হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE