তাদের বয়সের ব্যবধান মাত্র এক সেকেন্ড। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ফারাকও ওই এক— ঠিক এক নম্বরের। বিশ্বভারতীর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী যমজ দুই ভাই। ৯৬.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে রোদ্দুর মম। ৯০০ নম্বরের মধ্যে সে পেয়েছে ৮৭০। দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর নাম দিগন্ত মম। সে পেয়েছে ৯৬.৫৬ শতাংশ নম্বর। তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৬৯। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেও দুই যমজ ভাইয়ের ফলাফলে খানিকটা অবাক হয়েছেন শিক্ষক এবং সহপাঠীরা।
বিশ্বভারতীর ‘স্কুল সার্টিফিকেট ২০২৩’ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক স্তরে পঠন-পাঠন হয় পাঠভবন এবং শিক্ষাসত্র, এই দুই বিদ্যালয়ে। পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী রোদ্দুর এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দিগন্ত একই পরিবারের সদস্য হওয়ায় বাড়িতে খুশির মেজাজও দ্বিগুণ হয়েছে। রোদ্দুরের কথায়, ‘‘আমি এই ভেবে অত্যন্ত উত্তেজিত যে, এ বছরের ‘আনন্দবাজার’ আনন্দমেলা উদ্বোধন করার সুযোগ পাব। আমি ছোট থেকেই এই স্বপ্ন দেখতাম। মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হলেই আনন্দমেলা উদ্বোধনে ফিতে কাটার সুযোগ পাওয়া যায়। প্রতি বছর মহালয়ার দিন বিশ্বভারতীতে যে আনন্দমেলা উদ্যাপিত হয়, তার উদ্বোধন করার দায়িত্ব পায় সে।’’ আর দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দিগন্ত বলে, ‘‘পড়াশোনার সময় এক জন অন্য জনকে দুর্বল বিষয়গুলোয় গাইড করতাম। এ ভাবেই আমাদের এসেছে সাফল্য এসেছে।’’
আরও পড়ুন:
শ্রীনিকেতনে ‘শিক্ষাসত্র’তে পড়াশোনা করে যমজ ভাই। তা ছাড়া একজনের রবীন্দ্রসঙ্গীত অন্য জনের তবলায় সঙ্গত বেশ প্রশংসনীয় বলে জানাচ্ছেন শিক্ষকেরা। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ বছর ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৮৭০ পেয়ে প্রথম হয়েছে রোদ্দুর মম। আর ৮৬৯ পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে দিগন্ত মম। ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৮৬২ পেয়ে যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে শুভ্র মণ্ডল এবং শ্রীমন্তিকা সাহা।’’ তিনি সব সফল পরীক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।