রাস্তার কোথাও মিটমিটে আলো জ্বলছে। আবার কোথাও বা পাড়ার এ মাথা থেকে ও মাথা নিকষ কালো অন্ধকার। মানবাজারের রাতের পথের এই ছবিটা এ বার বদলাতে উদ্যোগী হল প্রশাসন।
সম্প্রতি মানবাজার ১ বিডিও, ওসি-সহ কয়েকজন ব্যক্তি গভীর রাতে মানবাজার শহরে ঘোরেন। রাতের মানবাজার ঘোরার পর তাঁদের অভিজ্ঞতা, আড়ে বহরে শহর বাড়লেও রাতে কোথাও পর্যাপ্ত আলো নেই। এরপরেই প্রশাসন থেকে মানবাজার শহরকে আলোয় সাজানোর ভাবনা মাথায় আসে। সম্প্রতি সাংসদ তহবিল থেকে টাকা মেলায় কাজ শুরু করতে দেবি হবে না বলেই তাঁদের মত। মানবাজার ১ বিডিও সায়ক দেব বলেন, ‘‘আলোয় সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হলেও টাকার অভাবে শহরের রাস্তাঘাটে আলো দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। সম্প্রতি সাংসদের এলাকা উন্নয়নের তহবিল থেকে এই প্রকল্প বাবদ ১২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম দফার টাকাও পঞ্চায়েত সমিতিতে এসে গিয়েছে।’’
ব্লক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা রূপায়ণ করার জন্য সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার এসে মানবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। ইন্দকুড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ড, উপরপাড়া থেকে ঝরকাবাড়ি এবং হাসপাতাল এলাকা থেকে বসুন্ধরা লজ প্রভৃতি এলাকায় মোট ১৩০টি আলোর পয়েন্ট থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ দফতরের খুঁটি না থাকলে প্রয়োজনে আলোর জন্য নতুন খুঁটি পোঁতা হবে। প্রত্যেকটি বাতি স্তম্ভে ৬০-৭০ ওয়াটের সিএফএল বাল্ব লাগান হবে।
পুরুলিয়া কেন্দ্রের সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো বলেন, ‘‘মানবাজার অনেক পুরনো শহর। কিন্তু আলোর ব্যবস্থা ছিল না। পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রস্তাব পেয়ে এই প্রকল্পে টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
বিডিও বলেন, আলো লাগানোর ব্যবস্থার পাশাপাশি তার রক্ষণাবেক্ষণ ও বিদু্ৎ বিলের ব্যবস্থা কী ভাবে করা সম্ভব তার উপায় বের করতে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী সমিতিকে নিয়ে একটি বৈঠক করবে। আশা করছি বর্ষার আগেই শহরের রাস্তার অন্ধকার কাটানো যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy