Advertisement
০২ মে ২০২৪

২৩ দিনে শেষকৃত্য

শেষকৃত্য হল পুরুলিয়ার আনন্দমঠ হোমের আবাসিক কিশোরী পায়েল শূরের। ২৩ দিন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের মর্গে থাকার পরে, শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়া শ্মশানে দেহটি দাহ করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০৪
Share: Save:

শেষকৃত্য হল পুরুলিয়ার আনন্দমঠ হোমের আবাসিক কিশোরী পায়েল শূরের। ২৩ দিন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের মর্গে থাকার পরে, শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়া শ্মশানে দেহটি দাহ করা হয়। পুরুলিয়া জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক সুব্রত ঘোষ এবং আনন্দমঠ হোমের সুপার হৈমন্তী হেমব্রম এ দিন বাঁকুড়ায় গিয়ে পুরো বিষয়টির আয়োজন করেন।

শ্বাসকষ্ট নিয়ে অগস্টের প্রথম সপ্তাহে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল পায়েল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখার পরেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেখান থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ১৭ অগস্ট সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তখন থেকেই হাসপাতালের মর্গে পড়েছিল দেহটি। পায়েলের বাবা এবং মৃত্যু হয়েছিল আগেই। পরিবারের তরফে দেহটি দাবি করার মতো কেউ ছিল না। হোম কর্তৃপক্ষ কেন সৎকারের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হচ্ছিলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পুরুলিয়া হিউম্যান রাইটস ফোরামের সভাপতি আবু সুফিয়ান। পাশাপাশি, পায়েলের মৃত্যু অপুষ্টি এবং যক্ষায় হয়েছে কি না তা নিয়ে তদন্তের দাবি তোলে একটি মানবাধিকার সংগঠন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে হোমে তদন্ত করতে যান সমাজ কল্যাণ দফতরের সহকারী অধিকর্তা নীহার সামন্ত। বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন হোম কর্তৃপক্ষ। হোমের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নীলিমা দাস চৌধুরী এ দিন বলেন, ‘‘সন্ধ্যায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। আধিকারিকেরা পুরুলিয়ার দিকে রওনা দিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

morgue
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE