Advertisement
০৩ মে ২০২৪
বন বাঁচাতে উদ্যোগ সোনাঝুরিতে

নোটিস ১২ হোটেলকে, ঝুলল তালাও

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া, সোনাঝুরি এলাকায় হোটেলে চালানোয়, সতর্ক করা সত্বেও আমল না দেওয়ার অভিযোগে রবিবার একটি হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দিল স্থানীয় পঞ্চায়েত।

তালা বন্ধ হোটেল। নিজস্ব চিত্র

তালা বন্ধ হোটেল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৩:১৪
Share: Save:

সোনাঝুরি অঞ্চলে লজ ও হোটেল-গেস্টহাউস নিয়ে ক্রমশই কড়া হচ্ছে প্রশাসন।

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া, সোনাঝুরি এলাকায় হোটেলে চালানোয়, সতর্ক করা সত্বেও আমল না দেওয়ার অভিযোগে রবিবার একটি হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দিল স্থানীয় পঞ্চায়েত। ওই হোটেলের জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সেখানে থাকা আবাসিকদের ঘণ্টা চারেক সময় দিয়ে, এ দিন দুপুরেই তালা ঝুলিয়ে দিলেন রূপপুর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান রণেন্দ্রনাথ সরকার। শুধু ওই হোটেলেই নয়, সোনাঝুরি এবং খোয়াই এলাকার প্রায় ১২টি লজ-হোটেলকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সংশ্লিষ্ট সব দফতরের ছাড়পত্র দেখানোর নির্দেশে দিয়েছে পঞ্চায়েত।

রূপপুরের উপ-প্রধান বলেন, “ওই হোটেলকে বার কয়েক সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ওই এলাকায় কংক্রিটের নির্মাণ কাজ করা যাবে না বলে একটি মামলার প্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ আদালত আদেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে মানেনি। রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলিমা চৌধুরীর নির্দেশে, এ দিন তালা দেওয়া হয়েছে। বৈধ কাগজপত্র এবং প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না দেখানো পর্যন্ত ওই হোটেল বন্ধ থাকবে।’’

সোনাঝুরি জঙ্গল এবং খোয়াই নষ্ট করে বেআইনি ভাবে কংক্রিটের নির্মাণের অভিযোগ শান্তিনিকেতনে কয়েক দশকের। তা নিয়ে একাধিক মামলায় হয়েছে। এমন একটি মামলার প্রেক্ষিতে, ওই এলাকায় কোনও কংক্রিটের নির্মাণ কাজ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের সেই আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনি ভাবে রাতারাতি একাধিক কংক্রিটের নির্মাণ কাজ হয়েছে।

জমি মাফিয়া এবং অসাধু চক্রের যোগ সাজসে ওই এলাকায় আবার একাধিক সরকারি এবং খাস জমি বেআইনি জবরদখল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব দফতরের ছাড়পত্র না থাকা এবং সরাই বিধি না মানায় দিন চারেক আগে ওই এলাকার একটি হোটেল বন্ধ করেছেন বোলপুরের মহকুমাশাসক। পঞ্চায়েত প্রধান নীলিমা চৌধুরী বলেন, “আমরা চিহ্নিত করেছি। ধাপে ধাপে আমরা দখলমুক্ত করব। সোনাঝুরি এবং খোয়াইয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে কোনও নির্মাণ কাজ করতে দেওয়া হবে না।’’

রবিবার সকাল ন’টা নাগাদ উপপ্রধান, স্থানীয় সদস্য কাজল সাহা, সঞ্চালক ধর্মেন্দ্র সিংহ, এলাকার সমাজসেবী কাজী নুরুল হুদা-সহ অনেকে ওই হোটেল চত্বরে যান।

বৈধ কাগজপত্র না থাকায়, ওই হোটেল দুপুর একটা সময়ে তালা দেওয়া হবে বলে হোটেলের কর্মচারী এবং বোর্ডারদের জানান উপপ্রধান। গেস্ট হাউস খালি হলে বেলা একটা নাগাদ ওই হোটেলে বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে তালা দেয় পঞ্চায়েত।

ওই হোটেলের পক্ষে নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই সম্পত্তি আমার স্ত্রীর নামে আছে। কোনও রকম নোটিস ছাড়া, পঞ্চায়েত আমাদের হোটেলে এই রকম তালা দিতে পারে না। কি কারণে বেআইনি, সেটাও আমরা জানি না। রীতিমতো আবেদন করেছি এবং সেই আবেদন খতিয়ে দেখার পরে, পঞ্চায়েত ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। আমাদের বাড়ি এবং হোটেল দুটোরই বিল্ডিং ট্যাক্সও দিয়েছি। আইনের দ্বারস্থ হচ্ছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE