Advertisement
E-Paper

কেন কমল পরীক্ষার্থী, চলছে চর্চা

পুরুলিয়া জেলায় এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৪৫,১১৭ জন। গত বছর পরীক্ষায় বসেছিল ৪৬,০৫৯ জন।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:১০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

গত বছরের তুলনায় এ বার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমল। কারণ কী? নানা মহলের নানা মত।

মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলায় এ বার মাধ্যমিকে বসতে চলেছে ৫১ হাজার ২২ জন ছাত্রছাত্রী। গত বছর এই সংখ্যাটাই ছিল ৫২ হাজার ৩৪৩। জেলা স্কুল পরিদর্শক (অ্যাকাডেমিক) গৌতমচন্দ্র মাল বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বার জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৩২১ জন। ছাত্রের সংখ্যা গত বারের তুলনায় কমেছে ১ হাজার ৩১৭ জন ও ছাত্রীর সংখ্যা কমেছে চার জন।”

পুরুলিয়া জেলায় এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৪৫,১১৭ জন। গত বছর পরীক্ষায় বসেছিল ৪৬,০৫৯ জন। এ বার সেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৯৪২। জেলা শিক্ষা দফতর অবশ্য জানাচ্ছে, গত কয়েক বছর ধরেই এই জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়া-কমা করছে। ২০১৬ সালে যেমন বেড়েছিল, তেমনই পরের বছর কমে যায়। আবার ২০১৮ সালে পরীক্ষার্থী বেড়েছিল। তবে, সম্প্রতিক কালে সব থেকে বেশি পরীক্ষার্থী কমেছিল ২০১৭ সালে, ৩৩৭১ জন।

পুরুলিয়ার মাধ্যমিক পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক দেবাশিস লায়েক ও পর্ষদের জেলা প্রতিনিধি বিকাশ মাহাতোর দাবি, ‘‘এ বার পরীক্ষার্থী বিশেষ কমেনি। হতে পারে, স্কুলে ভর্তি কম হয়েছিল। অল্পস্বল্প স্কুলছুটও থাকতে পারে। তবে, এ বারও ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি। সেটাও কম উল্লেখযোগ্য নয়।’’ বাঁকুড়া জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর মহকুমায় গতবারের তুলনায় এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমেছে ৯৮০ জন এবং খাতড়া মহকুমায় কমেছে ৪৩২ জন। তবে, গতবারের তুলনায় পরীক্ষার্থী সামান্য হলেও বেড়েছে বাঁকুড়া সদর মহকুমায়, ৯১ জন।

বাঁকুড়া

মোট পরীক্ষার্থী: ৫১,০২২

ছাত্র: ২২,৮৯৯, ছাত্রী: ২৮,১২

পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র ১১২

হেল্পলাইন : ৯১৫৩৫৭৫২৪৫ ও ৯৪৩৪২০২৩৩৬

পুরুলিয়া

মোট পরীক্ষার্থী: ৪৫,১১৭

ছাত্র: ২০,৭৮০, ছাত্রী: ২৪,৩৩৭

পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র: ১১০

হেল্পলাইন: ০৩২৫২-২২২৪৩৮

এবিটিএ-র বাঁকুড়া জেলা সহ সম্পাদক আশিস পান্ডের বক্তব্য, “অনেকেই বলেন ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় বাংলা মাধ্যমে পড়ুয়া কমছে। সেই অর্থে দেখতে গেলে, জেলার বাকি দু’টি মহকুমার তুলনায় বাঁকুড়া সদর মহকুমাতেই ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল বেশি রয়েছে। তাই ওই তত্ত্ব এখানে খাটে না।’’ তাঁর অভিযোগ, গ্রামাঞ্চলের স্কুল ও শিক্ষা দফতর পড়ুয়াদের প্রতি উদাসীন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিল রয়েছে। তাই অনেকেই ওই ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করে বন্ধ করে দিচ্ছে। জঙ্গলমহল এলাকায় বেশির ভাগ তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের হস্টেল বন্ধ হয়ে রয়েছে। এর ফলে ওই এলাকায় পরীক্ষার্থী কমছে।

যদিও তাঁর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল প্রভাবিত ‘পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির’ জেলা সভাপতি তথা জেলার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আহ্বায়ক গৌতম দাস। তাঁর ব্যাখ্যা, “পরীক্ষার্থী এ বার কিছুটা কমলেও তা উল্লেখযোগ্য কিছু নয়।” গৌতমবাবু ২০১৬ ও ২০১৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর তথ্য তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, ২০১৬ সালে মাধ্যমিকের পুরনো সিলেবাসের শেষ পরীক্ষা হয়। ওই বছর জেলায় ৫৪ হাজার ১৮৯ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে বসেছিল। নতুন সিলেবাসের প্রথম বছরের পরীক্ষায় ২০১৭ সালে জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৭০৭ জন। পরের বছর ২০১৮ সালে ফের পরীক্ষার্থী বাড়ে প্রায় আড়াই হাজার। গৌতমবাবুর দাবি, “নতুন সিলেবাসের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার অনেকটা বেড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্যই। তাই ফেল করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা জেলায় কমেছে। তা ছাড়া, অনেকেই এখন একটি বা দু’টির বেশি সন্তান নিচ্ছেন না। এটাও পরীক্ষার্থী কমার কারণ হতে পারে।”

Madhyamik Purulia Bankura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy