১৯৯১ সালে প্রতি হাজার ছেলে পিছু কন্যা সন্তান জন্মের অনুপাত দেশে ৯৪৫। ২০১১ সালে ৯১৯ ঠেকেছে। রাজ্যের পরিস্থিত ৯১ সালে ৯৬৭ ছিল, ২০১১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী সেটা নেমেছে ৯৫০! এই ভারসাম্য বাজায় রাখতে না পারলে চরম সঙ্কট অপেক্ষা করছে। কন্যা ভ্রূণ হত্যা রুখতে লিঙ্গ নির্ধারণ নিবারণ আইন বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে, বুধবার সিউড়িতে একটি আলোচনা সভা হয়ে গেল। উদ্যোক্তা জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
সিউড়ির ভকত সিংহ পার্কের কনফারেন্স হলে ওই সভায় ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জয়েন্ট ডিএইচ এস অধিকর্তা(প্রশাসন) অদিতি কিশোর সরকার, এডিএইচএ এবং নোডাল অফিসার পিসিপিএনডিটি নিশিথ মণ্ডল, মহকুমা শাসক (সিউড়ি সদর) জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য অধিকর্তা হিমাদ্রি আড়ি প্রমুখ। ছিলেন, জেলাস্বাস্থ্য দফতরের একধিক কর্তা। হাসপাতালের সুপাররা, ও অন্য চিকিৎসকরেরা। কেন এমন উদ্যোগ?
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, যে হারে দেশে পুরুষের তুলনায় ক্রমাগত মহিলাদের অনুপাত কমছে, এর প্রধান কারণ কন্যাভ্রূণ হত্যা। দেশে ও রাজ্যের নিরিখে জেলার চিত্র অপেক্ষাকৃত ভাল হলেও সন্তোষজনক নয়। কোনওভাবেই যেন গর্ভধারণের পূর্বে বা প্রাক প্রসবকালীন সময়ে গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ সম্পর্কিত তথ্য জানা না যায় তা নিয়ে কঠোর আইন থাকলেও তা এখনও লঙ্ঘিত হচ্ছে দেশজুড়ে। এই বিষয়ে যেমন আলট্রাসোনগ্রাফি ক্লিনিকে নজরদারি করা বাঞ্ছনীয়।
জয়েন্ট ডিএইচ এস অধিকর্তা(প্রশাসন) অদিতি কিশোর সরকার বলেন, ‘‘চিনের ১৩৮ কোটি জনসংখ্যার ঠিক পিছনেই ভারত। জনসংখ্যা ১৩৩ কোটি পেরিয়েছে। কিন্তু যেটা সবচেয়ে ভয়ের, শিশু জন্মের অনুপাত ছেলে ও মেয়ের অনুপাত বা ‘চাইল্ড সেক্স রেসিও’ কমছে প্রতিবছর। ভারসাম্য বাজায় রাখতে না পারলে চরম সঙ্কট অপেক্ষা করছে।’’
পিসিপিএনডিটি আইন অনুযায়ী আলট্রাসাউন্ড ক্লিনিকগুলি লাইসেন্স পেয়েছে কিনা, নবীকরণ হয়েছে কিনা, অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাদের ইউএসজি করালে ফর্ম এফ পূরণ করা হয়ে কিনা রেজিষ্টারে সঠিকভাবে পূরণ করা হয় কিনা। কারা সেখানে ইউএসজি চালাচ্ছে সেগুলি খতিয়ে দেখা উচিত— বলছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘আমাদের জেলায় কন্যা শিশুর জন্মের হার ৯৬২টি। কিন্তু যে ৭৮টি ইউএসজি ক্লিনিক থেকে লিঙ্গ সংক্রান্ত তথ্য অন্তঃসত্বা মহিলা বা তাঁর পরিবার পেতে পারে সেটা যথাযথ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সব শর্ত পূরণ না হলে নতুন লাইসেন্স দেওয়া বা নবীকরণ করা হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy