Advertisement
E-Paper

ঘুষ নিয়ে ধৃত খনি-কর্তা

ওমপ্রকাশ গত ১২ জুলাই চিঠি দিয়ে বিষয়টি সিবিআই-কে জানান। ১৩ জুলাই পারবেলিয়া কয়লাখনিতে সরেজমিন তদন্তে যায় সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার একটি দল। তার পরেই তাঁকে হাতে নাতে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০২:৪২
সৌমেনকুমার পাল। নিজস্ব চিত্র

সৌমেনকুমার পাল। নিজস্ব চিত্র

কয়লাখনির কর্মীর থেকে ঘুষ নেওয়ার সময়ে হাতেনাতে ইসিএল-এর এক আধিকারিককে গ্রেফতার করল সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ইসিএল-এর আবাসন থেকে সৌমেনকুমার পাল নামে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া থানার পারবেলিয়া কয়লাখনির ওই ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়ছে। শনিবার তাঁকে আসানসোলে সিবিআই-এর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

মাস তিনেক আগে পদোন্নতি হয়ে পশ্চিম বর্ধমানের বানকোলা কয়লাখনি থেকে পারেবলিয়া কয়লাখনির ম্যানেজার হিসাবে কাজে যোগ দেন সৌমেন। ইসিএল ও সিবিআই-এর একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, পারবেলিয়া কয়লাখনির টাব অপারেটর ওমপ্রকাশ মাহাতো সম্প্রতি সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সৌমেন তাঁর থেকে ঘুষ চেয়েছেন। ওমপ্রকাশের কাজ কয়লাখনির উপরে। তাঁর দাবি, সম্প্রতি তাঁকে খনির নীচের কাজ দেন সৌমেন। আপত্তি করায় খনির উপরের কাজের জন্য প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে ঘুষ চাওয়া হয় বলে ওমপ্রকাশের অভিযোগ।

ওমপ্রকাশ গত ১২ জুলাই চিঠি দিয়ে বিষয়টি সিবিআই-কে জানান। ১৩ জুলাই পারবেলিয়া কয়লাখনিতে সরেজমিন তদন্তে যায় সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার একটি দল। তার পরেই তাঁকে হাতে নাতে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয়। পরিকল্পনা মাফিক, সৌমেনের দাবি মেনে নিয়ে শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ এক হাজার টাকা নিয়ে তাঁর আবাসনে যান ওমপ্রকাশ। টাকা নেওয়ার সময়েই সিবিআই-এর কর্মীরা আবাসনে ঢুকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন সৌমেনকে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাঁর আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইসিএল-এর সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা হওয়ার হবে।’’

Bribe Mine Official ECL ইসিএল CBI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy