Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টাকা কেটেছে, বিল তবু মেটেনি

নেট ব্যাঙ্কিং-এ বিদ্যুতের বিল মিটিয়েছিলেন এক গ্রাহক। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিলেও তা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের কাছে পৌঁছয়নি। তাঁর অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতর আর ব্যাঙ্কে ঘুরে মাস কাবার হতে চললেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৭ ০১:১১
Share: Save:

নেট ব্যাঙ্কিং-এ বিদ্যুতের বিল মিটিয়েছিলেন এক গ্রাহক। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিলেও তা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের কাছে পৌঁছয়নি। তাঁর অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতর আর ব্যাঙ্কে ঘুরে মাস কাবার হতে চললেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।

কাশীপুরের নপাড়া এলাকার বাসিন্দা সব্যসাচী মণ্ডল ফেব্রুয়ারিতে বাড়ির বিদ্যুতের বিলের ১৩০৪ টাকা মিটিয়েছিলেন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যবহার করে। কেন্দ্রীয় সরকার নগদ বিহীন লেনদেনে জোর দিচ্ছে। গ্রাহকদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সুবিধাও থাকছে। বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম নগদহীন পদ্ধতিতে বিল মেটালে ১ শতাংশ ছাড় দেয়। সব্যসাচীবাবু বলেন, ‘‘নেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা জনপ্রিয় হচ্ছে দেখে অনলাইনে বিল মিটিয়েছিলাম। কিন্তু সুবিধার বদলে হয়রানিই হল।’’

সব্যসাচীবাবু জানান, বিল মেটানোর পরে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাও কেটে নেওয়া হয়। এসএমএস মারফত তাঁর মোবাইলে সেই কথা জানানো হয়। পাসবই আপ়ডেট করেও দেখা যায় টাকা কাটা হয়েছে। কিন্তু বিল জমা করার শেষ দিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম প্রাপ্তি স্বীকার করেনি। অনলাইনে বিল মেটালে ই-রিসিপ্ট আসে, তাও পাননি তিনি।

বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের অফিসে খোঁজ নিতে গেলে তাঁকে জানানো হয়, বিলের টাকা জমা পড়েনি। তাঁকে বলা হয় ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে। বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের অনলাইন পোর্টালে অভিযোগ জানান সব্যসাচীবাবু। ব্যাঙ্কে গিয়েও সদুত্তর মেলেনি বলে তাঁর অভিযোগ। সব্যসাচীবাবু বলেন, ‘‘আদৌ টাকাটা জমা পড়বে কি না বুঝতেই পারছি না।’’

ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাশীপুর শাখার ম্যানেজার প্রতাপ সিংহ বলেন, ‘‘কোথায় সমস্যা হয়েছে এখনও জানা যায়নি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bill Net Banking
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE