প্রতীকী ছবি।
কয়েক দিন আগে কুকুর কামড়েছিল দুবরাজপুরের বছর পনেরোর এক কিশোরকে। জলাতঙ্ক প্রতিরোধকারী টিকার (অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন) খোঁজে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে শোনা গিয়েছে সরবরাহ নেই। বাইরের দোকান থেকে টাকা খরচ করে ইঞ্জেকশন কিনতে হয় ওই কিশোরের পরিজনদের। অভিযোগ, শুধু দুবরাজপুর নয়, সিউড়ি জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি জেলার অন্য ব্লক হাসপাতালেও মিলছিল না ‘অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন’। অনেক হাসপাতাল নোটিস টাঙিয়ে জানিয়েছিল— ‘টিকা দেওয়া যাবে না।’ যাঁরা ইতিমধ্যে টিকার ‘কোর্স’ শুরু করেছেন, তাঁরাও পরের টিকা সময়মতো পাবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত জলাতঙ্ক-রোধী কিছু টিকা পৌঁছল বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায়। সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ির কথায়, ‘‘মাসখানেক ধরে জলাতঙ্কের টিকার অভাব ছিল। কয়েকটি হাসপাতালে রোগীরা সমস্যা পড়ছিলেন। তবে শনিবার সকালের মধ্যেই জেলা, মহকুমা ও ব্লক হাসপাতালে ওই টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রয়োজনের তুলনায় গত বারও কম ‘অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন’ এসেছিল। বীরভূমের দুই স্বাস্থ্য জেলায় কুকুর ও অন্য প্রাণীর কামড়ে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৭৬৫ জন। টিকা দিয়ে ২৩ হাজার ৭১০ জনের চিকিৎসা করা গিয়েছিল। এ বার সরবরাহও আরও কম। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ঝুঁকি এড়াতে অনেকে বাইরে থেকে ইঞ্জেকশন কিনে নেন। অনেককে বাধ্য হয়ে তা কিনতে হচ্ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy