—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্কুলে প্রায়ই দেরিতে আসেন শিক্ষকেরা। বারবার তাঁদের সময়ে আসার অনুরোধ জানিয়েও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে দাবি। নির্দিষ্ট সময়ের পরে তাই স্কুলের মূল গেট বন্ধ করে দিচ্ছেন অভিভাবক থেকে গ্রামবাসীর একাংশ। পুরুলিয়ার পাড়া ব্লকের ভাগাবাঁধ হাইস্কুলের ঘটনা। বেলা পৌনে ১১টায় পরে আসায় গত মঙ্গলবার ও বুধবার তিন শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ না জানিয়ে এ ভাবে স্কুলের গেট বন্ধ করে দেওয়া ঘিরে তবে প্রশ্ন উঠেছে। স্কুলের ‘টিআইসি’ সদানন্দ মোদক বলেন, ”অভিভাবকেরা সময়ে শিক্ষকদের স্কুলে আসার দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষকদের সঙ্গে
আলোচনায় বসা হবে।”
স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা হাজারের বেশি। শিক্ষক রয়েছেন ২১ জন। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে অনেকে স্কুল শুরুর আধ ঘণ্টা পরে স্কুলে ঢোকেন। কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বুবাই মণ্ডল, রাসবিহারী কুম্ভকারদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সময়ে স্কুলে আসেন না শিক্ষকদের একাংশ। এতে পডুয়াদের পড়াশোনায় প্রভাব পড়ছে। তাঁদের কথায়, “শিক্ষকদের দেরিতে আসতে দেখে কিছু পড়ুয়াও দেরিতে স্কুলে যেতে শুরু করেছে। আমরা এই অবস্থার বদল চেয়ে স্কুল শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের পরে গেট বন্ধ করে দিয়েছি।”
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, পড়ুয়ার তুলনায় এমনিতে শিক্ষকের সংখ্যা কম। নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকেরা কেউ কেউ অনুপস্থিতও থাকেন। তার উপরে কেউ বা কারা সময়ে স্কুলে না এলে স্কুল পরিচালনায় প্রভাব পড়েই। বিষয়টি মেনে নিয়েছেন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা কিরীটী আচার্যও। অভিভাবকদের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, “বাধ্য হয়ে স্কুল শুরুর সময়ের পরে স্কুলের দরজা বন্ধ করছেন গ্রামবাসী। এতে দোষের কী আছে! শিক্ষকেরা যাতে সময়ে স্কুলে আসেন, তার জন্য এ পদক্ষেপ।” তাঁরও দাবি, শিক্ষকদের আগেও সময়ে স্কুলে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টায়নি। ওই দু’দিন স্কুলে ঢুকতে না পারা শিক্ষকদের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
অবর স্কুল পরিদর্শক (আনাড়া চক্র) শুভাশিস খাঁ বলেন, “গ্রামবাসী কী করেছেন, নিজে গিয়ে দেখা হয়নি। তবে বিষয়টি কানে এসেছে। স্কুলের টিআইসিকে সমস্যা
মেটাতে বলা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy