মহকুমা সদরের স্বীকৃতি এসেছে। কিন্তু, পুরসভায় উন্নীত হয়নি। ফলে পঞ্চায়েত এলাকার অধীন থেকেও মহকুমা সদর হওয়ায় ক্রমশ বসতি বেড়ে চলেছে মানবাজারে। সে তুলনায় নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামো গড়ে না ওঠায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে এখানে। তার মধ্যে যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ চিন্তা বাড়িয়েছে বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, এর ফলে মহকুমা সদরে দূষণ বাড়ছে।
দক্ষিণ পুরুলিয়ার মুখ্য বাজার মানবাজার। পঞ্চায়েত এলাকা হলেও কয়েক বছরের মধ্যে প্রচুর বাড়িঘর তৈরি হওয়ায় জনসংখ্যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজের সূত্রে আসা অনেকেই বাড়ি করে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন। আবার মহকুমা হওয়ায় একসময়ে শহর গড়ে উঠবে, এই আশায় গ্রামাঞ্চল থেকেও অনেকে এখানে এসে বাড়ি তৈরি করছেন। সেই সঙ্গে বাসিন্দাদের ফেলে দেওয়া আবর্জনার পরিমাণও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। এতে পচনশীল এবং অপচনশীল জিনিসপত্র দুই রয়েছে।
ফলে পরিচ্ছন্নতা রাখতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা পঞ্চায়েতের। শহরে ইতিউতি জঞ্জালের স্তূপ দেখে ইতিমধ্যে বাসিন্দাদের একাংশ সরব হয়েছেন। মানভূম কলেজের অধ্যাপক প্রদীপ মণ্ডল থেকে কলেজ পড়ুয়া অর্ক দত্ত বলেন, ‘‘মানবাজার মহকুমা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু, সেই তুলনায় নাগরিক পরিষেবার উন্নতি হয়নি। সে কারণে শহরের বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা জমে থাকছে। অথচ সাফাই করা হচ্ছে না। এ বার এ নিয়ে প্রশাসনের একটা পরিকল্পনা নেওয়া দরকার।’’ বাসিন্দাদের মতে, যে হারে আবর্জনার স্তূপ বেড়ে চলেছে, তাতে একটা ডাম্পিং গ্রাউন্ডের প্রয়োজন রয়েছে। যেখানে বাজারের সমস্ত আবর্জনা জমা করা হবে। পরে যন্ত্রের সাহায্যে ওই বর্জ্য সারে পরিণত করা যেতে পারে।