Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রতিমা মন্দিরেই, রেশ কাটেনি দুর্গাপুজোর

নবমী নিশি পার হয়ে দশমীও চলে গিয়েছে। কিন্তু জেলার অনেক মন্দির, মণ্ডপে এখনও রয়ে গিয়েছে দুর্গা প্রতিমা। তাতেই খুশির রেশ রয়ে গিয়েছে পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন জনপদে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার পুরুলিয়া জেলায় ২০০০-এর বেশি পুজো হয়েছে।

এখনও দর্শনার্থী। মানবাজারের দত্তবাড়ির দুর্গামেলায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

এখনও দর্শনার্থী। মানবাজারের দত্তবাড়ির দুর্গামেলায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানবাজার শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৪৮
Share: Save:

নবমী নিশি পার হয়ে দশমীও চলে গিয়েছে। কিন্তু জেলার অনেক মন্দির, মণ্ডপে এখনও রয়ে গিয়েছে দুর্গা প্রতিমা। তাতেই খুশির রেশ রয়ে গিয়েছে পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন জনপদে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার পুরুলিয়া জেলায় ২০০০-এর বেশি পুজো হয়েছে। তার মধ্যে পুরুলিয়া শহর, আদ্রা, রঘুনাথপুর, ঝালদার মতো কয়েকটি জায়গায় সর্বজনীন পুজো কমিটির কর্তারা মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতেই বিসর্জনের পালা চুকিয়ে ফেলেছেন। বুধবার মহরম থাকায় প্রশাসনের নির্দেসে প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ ছিল। আবার রীতি মেনে অনেকে বৃহস্পতিবারও প্রতিমা বিসর্জন দেয়নি। ফলে অধিকাংশ জায়গাতেই প্রতিমা এখনও মন্দিরে রয়ে গিয়েছে। আজ শুক্রবার ওই সব কমিটির বিসর্জন দেওয়ার কথা। আবার অনেক মন্দিরের প্রতিমা লক্ষ্মীপুজোর পরে বিসর্জন দেওয়া হবে।

তাই মন্দির ও মণ্ডপ চত্বরে এই ক’দিন ধরে ছোটরা যেমন সকাল থেকে দিনভর আনন্দে মেতে রয়েছে। তেমনই বড়রাও কম যাচ্ছেন না। চলছে আড্ডা। তাস, ক্যারম খেলা। কোথাও কোথাও সর্বজনীন পুজো উদ্যোক্তরা সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মজার-মজার প্রতিযোগিতা করছেন। এক অর্থে প্রতিমা যতদিন রয়েছে, সেই ক’টা দিন চুটিয়ে আনন্দে করার যাবতীয় রসদ খুঁজে নিচ্ছেন মানুষজন।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাস্তা বা পার্কের অংশ দখল করে যেখানে পুজো হয়েছে, সেই সব মণ্ডপের প্রতিমা প্রায় সব বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। কিছু বাকি রয়েছে। সে সব শুক্রবারের মধ্যে বিসর্জন হয়ে যাবে। জেলায় দেড় হাজারের বেশি পারিবারিক বা মেলা কমিটির পুজো রয়েছে। সেখানে মন্দিরে পুজো হয়। সাধারণত লক্ষ্মীপুজোর পরে ওই সব মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন হয়ে থাকে।’’

জেলার অনেক এলাকাতেই দুর্গার কাঠামোতেই লক্ষ্মীপুজোর রীতি দীর্ঘদিনের। সে কারণে পুরুলিয়ার বেশিরভাগ মন্দিরে দুর্গাপ্রতিমা রয়ে গিয়েছে। যেমন মানবাজার সুবর্ণবণিক সমিতির সম্পাদক আনন্দময় সেন বলেন, ‘‘আর দু’বছর পরে আমাদের পুজো শতবর্ষ ছোঁবে। আমাদের এখানে দুর্গার কাঠামোতে লক্ষ্মীপুজো করার রীতি। তাই ওই কাঠামোতে লক্ষ্মীপুজোর পর শুভদিন দেখে আমরা প্রতিমা বিসর্জন দেব।’’

মানবাজারের কুণ্ডু দুর্গামেলার পুরোহিত তারাশঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নিয়মমাফিক বিজয়ার দিন দেবীর ঘট বিসর্জন হয়ে গেলেও, মন্দিরে প্রতিমা থেকে যাওয়ায় শাস্ত্রীয় আচার মেনে দু’বেলা পুজো-আরতি করতে হচ্ছে। সে সময়ে অনেকে মন্দিরে আসছেন। বেশ পুজো পুজো ভাব রয়ে গিয়েছে।’’ কচিকাঁচাদের এটাই বাড়তি পাওনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Puja Pandals Manbazar Durga Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE