Advertisement
০৩ মে ২০২৪

রাস্তা গড়লেন বাসিন্দারাই

সাংসদ থেকে শুরু করে প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত.সবার কাছেই রাস্তা সংস্কার করে একটি কার্লভাট নির্মাণের আবেদন জানিয়ে আসছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজেরাই চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার ও কালর্ভাট নির্মাণ করলেন রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বাবুগ্রাম পঞ্চায়েতের বারিকবাঁধ পাড়ার বাসিন্দারা। মোট ৮০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে সম্প্রতি রাস্তা সংস্কার ও কার্লভাট তৈরি করেছেন ৩০টি পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৪৫
Share: Save:

সাংসদ থেকে শুরু করে প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত.সবার কাছেই রাস্তা সংস্কার করে একটি কার্লভাট নির্মাণের আবেদন জানিয়ে আসছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজেরাই চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার ও কালর্ভাট নির্মাণ করলেন রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বাবুগ্রাম পঞ্চায়েতের বারিকবাঁধ পাড়ার বাসিন্দারা।

মোট ৮০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে সম্প্রতি রাস্তা সংস্কার ও কার্লভাট তৈরি করেছেন ৩০টি পরিবার। তবে রঘুনাথপুর ১ বিডিও সুনীতিকুমার গুছাইত দাবি করেছেন, তাঁর কাছে কেউ বারিকবাঁধ পাড়ায় রাস্তা ও কালর্ভাট না থাকায় সমস্যার কথা জানাননি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিডিও বলেন, “ব্লক প্রশাসনের কাছে সমস্যার কথা জানালে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতাম।”

রঘুনাথপুর পুরশহরের চেলিয়ামা রাস্তায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরেই শুরু হয়েছে বাবুগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। স্থানীয় ভাবে যে এলাকা বারিকবাঁধ পাড়া বলেই পরিচিত। গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় বসতি স্থাপন শুরু হয়েছে। কিন্তু পাড়ার একাংশে ঢোকার জন্য কালর্ভাট না থাকায় যাতায়াত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওই পাড়ায় প্রায় ৩০টি পরিবারের বাস। স্থানীয় ভাবে জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর-চেলিয়ামা রাস্তার পাশ দিয়ে ঢালু হয়ে কাঁচা রাস্তা ঢুকেছে ওই পাড়ায়। কাঁচা রাস্তার পাশেই রয়েছে একটি জোড় (ছোট নদী)। ফলে বর্ষার সময়ে কালর্ভাট না থাকায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।

ওই পাড়ার বাসিন্দা নন্দদুলাল মুখোপাধ্যায়, মনোজ মাহাতোরা বলেন, “মূল রাস্তা থেকে মাত্র ৩০০ ফুট কাঁচা রাস্তা সংস্কার করে একটি কালর্ভাট বানানোর দাবি দীর্ঘদিন ধরেই সাংসদ, প্রশাসন, পঞ্চায়েত সকলের কাছেই জানিয়েছিলাম। কিন্তু কেউই কোনও উদ্যোগ নেয়নি।” বাসিন্দাদের কথায়, বিভিন্ন মহলে আবেদন করেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাঁরা নিজেরাই চাঁদা তুলে মাটি ফেলে রাস্তাটির সংস্কার করে কার্লভাট তৈরি করেছেন। গড়ে পরিবার পিছু ৩০০০ টাকা চাঁদা দেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE