ক্ষোভ। কোটাসুরে। নিজস্ব চিত্র
কয়েকদিন আগেই ময়ূরেশ্বরের কোটাসুরে এক শিক্ষকের ফাঁকা বাড়ির তালা ভেঙে চুরি করে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবারও ওই থানা এলাকারই কাঞ্চনা গ্রামেও শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডলের ফাঁকা বাড়িতে একই ভাবে হানা দিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু সকলেই চম্পট দিতে পারেনি। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনকে তাড়া করে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশের গাড়ির একটি কাঁচও ভেঙে দেয় উত্তেজিত জনতা।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, বিশ্বজিৎবাবুরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই স্থানীয় দুটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। একমাত্র মেয়ে একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ে। অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও তাঁরা বেলা ১০টা নাগাদ বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে যে যার স্কুলে বেড়িয়ে যান। সেই সুযোগে কয়েকজন দুষ্কৃতী তালা ভেঙে ওই বাড়িতে হানা দেয়। আলমারির তালা ভেঙে গয়না এবং নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তারই মধ্যে একজন দুষ্কৃতী মোটরবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। দু’জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
চোরেদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুটি গুলি-সহ একটি রিভলভার, ভোজালি এবং রড। কিছু গয়নাগাটিও। শুরু হয় উত্তমমধ্যম। খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। তাঁদের সামনেই ধৃতদের জেরা করে বাকি দুষ্কৃতীদেরও নাম উদ্ধারের দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু পুলিশ রাজী না হওয়ায় তাঁদের একটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। তদন্তে যাওয়া তিন পুলিশকর্মীকে বিশ্বজিৎবাবুর বাড়িতেই দীর্ঘক্ষণ কার্যত ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। পরে থানা থেকে পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘ফোনে খবর পেয়ে বাড়ি ফিরি। নগদ ৩৭ হাজার টাকা-সহ বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না খোওয়া গিয়েছে। পড়শিরাই রিভলভার-সহ দুই দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।’’ পুলিশ জানায়, ধৃতদের জেরা করে পরিচয় এবং অন্যান্য দুষ্কৃতীদেরও নাম উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy