Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শেষ মুহূর্তে রুখল বিয়ে

আলো দিয়ে সাজানো মণ্ডপ। নিমন্ত্রিতেরাও হাজির। বিয়ের লগ্নের সামান্য সময় বাকি। ঠিক তখনই সেখানে হাজির হয়ে ফের এক নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল পুলিশ ও প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে রাজনগরের চন্দ্রপুর থানা এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রাজনগর শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৩৪
Share: Save:

আলো দিয়ে সাজানো মণ্ডপ। নিমন্ত্রিতেরাও হাজির। বিয়ের লগ্নের সামান্য সময় বাকি। ঠিক তখনই সেখানে হাজির হয়ে ফের এক নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল পুলিশ ও প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে রাজনগরের চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। বেআইনি ওই বিয়ের খবর পেয়েই রাজনগরের যুগ্ম বিডিও অভিষেক রায় এবং চন্দ্রপুরের ওসি বিপ্লব প্রামাণিক সেই মণ্ডপে হাজির হয়ে এক দশম শ্রেণির পড়ুয়ার বিয়ে আটকে দেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, বছর পনেরো বয়সের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এলাকার এক যুবকের। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার খবর পেয়ে দু’টি পরিবারই তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কেন উপযুক্ত বয়সে পৌঁছনো অবধি অপেক্ষা না করে মেয়েটির অল্প বয়সেই তারা বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করলেন, তার সে প্রশ্নের জবাব ছিল না উভয় পরিবারের কাছে। প্রশাসনের আপত্তির কথা জেনে আয়োজনের চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছনো বিয়ে বাড়িতে তখন কান্নার রোল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বোঝানো হয় পাত্র ও পাত্রীকেও। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের যুক্তি মেনে নেয় দু’টি পরিবারই। যুগ্ম বিডিও বলেন, ‘‘যে স্কুলে মেয়েটি পড়ে সেই স্কুলে কিছু দিন আগেই একটি বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতনতা শিবির হয়েছে। তার পরেও ঘটনাটি ঘটতে যাচ্ছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা শেষ মুহূর্তে খবর না দিলে বিয়েটাই হয়ে যেত।’’ পুলিশ-প্রশাসন বলছে, বিয়ে নিয়ে জনসাধারণ একটু সচেতন হলেই এবং আরও আগে খবর পেলে পরিবারগুলির এতটা খরচের বহর অন্তত আটকানো যেত। সে ক্ষেত্রে মেয়েটির স্কুলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আপাতত বয়স আঠারোয় পৌঁছনোর আগে কিছুতেই মেয়ের বিয়ে নয়, উভয় পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Minor Marriage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE