Advertisement
১৮ মে ২০২৪

নির্বাচনে গলদ,সরব বিরোধীরা

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বিপত্তারণ শেখরবাবুর অভিযোগ, ৬ জুন সমিতির অফিসে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সামনে স্ক্রুটিনির কাজ শুরু হয়েছিল। তাতে দেখা যায় সংরক্ষিত আসনে কয়েকজন প্রার্থী বৈধ জাতিগত শংসাপত্রের বদলে স্থানীয় বিধায়কের শংসাপত্র দাখিল করেছেন। মহিলা প্রার্থীদের কেউ কেউ স্বামীর শংসাপত্র জমা করেছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানবাজার শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ০০:০৯
Share: Save:

সংরক্ষিত আসনে যথাযথ শংসাপত্র ছাড়াই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পুঞ্চা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ঘটনা। ১৮ জুন ওই সমিতির পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা। সিপিএম এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, বৈধ শংসাপত্র দাখিল না করেও শাসক দলের প্রার্থী হিসেবে কয়েক জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

পুঞ্চা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সদস্য সংখ্যা ৩১৫৩। প্রতিনিধির সংখ্যা ২৮। ৮ মে এই নির্বাচনের জন্য খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। ২ এবং ৩ জুন ছিল মনোনয়ন পত্র তোলার দিন। ৬ জুন মনোনয়ন পত্রের স্ক্রুটিনি এবং ওই দিন বেলা ৩টের মধ্যে মধ্যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল।

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বিপত্তারণ শেখরবাবুর অভিযোগ, ৬ জুন সমিতির অফিসে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সামনে স্ক্রুটিনির কাজ শুরু হয়েছিল। তাতে দেখা যায় সংরক্ষিত আসনে কয়েকজন প্রার্থী বৈধ জাতিগত শংসাপত্রের বদলে স্থানীয় বিধায়কের শংসাপত্র দাখিল করেছেন। মহিলা প্রার্থীদের কেউ কেউ স্বামীর শংসাপত্র জমা করেছেন। কেউ বা সংরক্ষিত পদে প্রার্থী হতে গিয়ে কোন শংসাপত্রই দিতে পারেননি। তাঁদের দাবি, এ রকমের ছ’জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্লকের সমবায় আধিকারিক সংরক্ষিত পদে যাঁদের বৈধ শংসাপত্র মেলেনি তাঁদের নামের তালিকা অফিসে টাঙিয়েছিলেন। সিপিএমের পক্ষ থেকে বিপত্তারণ শেখরবাবু, কংগ্রেসের বারিদবরণ মাহাতো ও তৃণমূলের শ্যামল চট্টোপাধ্যায় তাতে সই করেছিলেন। সমবায় আধিকারিক ওই নোটিশে জানিয়েছিলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিপত্তারণবাবু বলেন, ‘‘৭ জুন সকালে আমরা সমিতির অফিসে গিয়ে দেখি আগের নোটিশ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । পরিবর্তে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা টাঙানো রয়েছে।’’

কংগ্রেসের পুঞ্চা ব্লক সভাপতি বারিদবরণ মাহাতো বলেন, ‘‘আগের দিন যাদের নাম নিয়ে আপত্তি উঠেছিল তাদের নামও প্রার্থী তালিকায় রয়েছে। আমরা সমবায় আধিকারিক তথা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এআরও বিরিঞ্চি সহিসকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী, স্ক্রুটিনির তারিখ ও সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে প্রার্থী তালিকা টাঙানো যায় না। তা ছাড়া আগের দিন যাদের বৈধ শংসাপত্র জমা না হওয়ার অভিযোগ ছিল, তাঁদের নাম কী ভাবে প্রার্থী তালিকায় ঢুকল জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের প্রশ্নের জবাব দেননি।’’

পুঞ্চার বাসিন্দা তৃণমূলের শ্যামল চট্টোপাধ্যায় জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি পদে রয়েছেন। শ্যামলবাবুর পাল্টা দাবি, সিপিএম এবং কংগ্রেস হাত মিলিয়ে রাজনীতি করছে। তাঁর দাবি, ‘‘ওই প্রার্থীরা পরে শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন।’’

নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পুঞ্চার সমবায় আধিকারিক তথা এআরও বিরিঞ্চি সহিস এই ব্যাপারে কোনও কথা বলতে চাননি। মহকুমাশাসক (মানবাজার) সঞ্জয় পাল বলেন, ‘‘এই বিষয়ে কেউ আমাকে অভিযোগ জানাননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Election TMC Protest মানবাজার
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE