Advertisement
০৫ মে ২০২৪

পড়াশোনা ভাল চলছে তো, স্কুলে খোঁজ চাইল্ড-লাইনের

পড়াশোনা ঠিকঠাক চলছে তো, অবৈতনিক এক আশ্রম স্কুলে গিয়ে সে খোঁজ নিলেন পুরুলিয়া চাইল্ড লাইনের কর্তারা। চলতি বছরের জুন মাসে এই শিশু-শ্রমিকদের বাঁকুড়া থেকে উদ্ধার করে হোমে রাখা হয়েছিল।

পুজোর জামা। বোরোর আশ্রম স্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।

পুজোর জামা। বোরোর আশ্রম স্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোরো শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৯
Share: Save:

পড়াশোনা ঠিকঠাক চলছে তো, অবৈতনিক এক আশ্রম স্কুলে গিয়ে সে খোঁজ নিলেন পুরুলিয়া চাইল্ড লাইনের কর্তারা। চলতি বছরের জুন মাসে এই শিশু-শ্রমিকদের বাঁকুড়া থেকে উদ্ধার করে হোমে রাখা হয়েছিল। শুধু পড়াশোনার খোঁজ নেওয়াই নয়, তাদের দেওয়া হয় নতুন পোশাকও।

উদ্ধার হওয়া জনা চল্লিশেক পড়ুয়ার মধ্যে ২৫ জনের বাড়ি বোরো থানা এলাকায়। চাইল্ড লাইনের কর্তারা উদ্ধারের পরে বোরো থানা এলাকারই এক আশ্রম বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিশুদের পড়াশোনার বিষয় নিয়ে কথা বলেন। স্কুলে ভর্তি হলেও এই পড়ুয়ারা পিছিয়ে পড়তে পারে, সেই সম্ভাবনা থেকে চাইল্ড লাইনের কর্তাদের আর্জি ছিল, ওই অবৈতনিক স্কুল তাদের বিশেষ কোচিং দিক। সে সময় মিলেছিল আশ্বাস। সম্প্রতি চাইল্ড লাইনের কর্তারা দেখতে গিয়েছিলেন পড়াশোনা কেমন চলছে।

চাইল্ড লাইনের সদস্য অশোক মাহাতো বলেন, ‘‘এই ক’মাসে পড়ুয়ারা ভাল উন্নতি করেছে। নিজের নাম ঠিকানা লিখতে শিখেছে। ছোট ছোট সংখ্যার যোগ করতেও পারছে।’’ কোনও সংস্থার মাধ্যমে খাতা-পেনসিল এবং ব্যাগ জোগাড় করা গেলে পড়ুয়ারা আরও উৎসাহ পাবে বলে মনে করেন তিনি।

পুরুলিয়া চাইল্ড লাইনের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর দীপঙ্কর সরকার জানান, গত জুন মাসে বাঁকুড়া থেকে জনা চল্লিশেক শিশু শ্রমিক উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে ২৫ জন বোরো থানা এলাকার রাধামোহনপুর, হেঁসলা, চাতরা প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া শিশুদের সঙ্গে কথা বলে চাইল্ড লাইনের কর্তারা বুঝতে পারেন, এদের বেশির ভাগই স্কুলে যায় না। তারা যাতে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করতে পারে, তার জন্যেই আশ্রম স্কুলটির সঙ্গে কথা বলা হয়। যোগাযোগ করা হয় স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলগুলির সঙ্গেও। সেই মতোই চলছে পড়াশোনা। দীপঙ্করবাবু জানান, কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শিশু শ্রমিকদের কথা জানতে পেরে ওই স্কুলের সকল পড়ুয়াকে পোশাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

নতুন পড়ুয়াদের পেয়ে খুশি অবৈতনিক স্কুলটির অন্যতম কর্তা কৃত্তিবাস মাহাতো। আশ্রম বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা স্বামী সত্যস্বরূপানন্দ ছেলেমেয়েদের পড়ান। খুশি অভিভাবকেরাও। চিতু শবর, অনিল শবররা বলেন, ‘‘আমরা লেখাপড়া শিখিনি। তাতে অনেক সমস্যা হয় বুঝি। সে কারণে ছেলেমেয়েদের শেখাতে চাই।’’ এ দিকে নতুন পোশাক পেয়ে খুশি প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া প্রদীপ শবর, অনন্ত শবররাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Child line
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE