E-Paper

পঞ্চায়েতের কাজে নজর রাখতে তৃণমূলের কমিটি

২০১৯ লোকসভা ভোটে পঞ্চায়েত স্তরে ‘দুর্নীতিকে’ প্রচারের মূল হাতিয়ার করেছিল বিরোধীরা। যার জেরে জেলায় জোর ধাক্কা খায় তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৭
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

প্রত্যেক পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কাজে নজরদারির জন্য পৃথক দল গঠন করবে তৃণমূল। শনিবার পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।


পুরুলিয়ার ১৭০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩৪টিতে এবং ২০টি পঞ্চায়েত সমিতির সবক’টিতেই এ বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘যেখানে ক্ষমতায় এসেছি, সেখানে প্রত্যেক পঞ্চায়েতের কাজকর্মে নজরদারির জন্য মনিটরিং কমিটি গড়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল সভাপতি এবং নির্বাচনী কমিটির সদস্যদের থেকে তিন জনকে নিয়ে মোট পাঁচ জনের কমিটি গড়া হবে। পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে ওই কমিটি প্রয়োজনে ব্লক সভাপতিকে রিপোর্ট দেবে। একই ভাবে পঞ্চায়েত সমিতির কাজে নজর রাখতেও একই ধরনের কমিটি গড়া হবে। সেই কমিটিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পাশাপাশি ব্লক সভাপতিও থাকবেন। তাঁরা প্রয়োজনে কাজকর্ম নিয়ে জেলা সভাপতি বা জেলা নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দেবেন।’’

২০১৯ লোকসভা ভোটে পঞ্চায়েত স্তরে ‘দুর্নীতিকে’ প্রচারের মূল হাতিয়ার করেছিল বিরোধীরা। যার জেরে জেলায় জোর ধাক্কা খায় তৃণমূল। আবাস যোজনার টাকা থেকে ‘কাটমানি’ আদায়ের ভুরিভুরি অভিযোগ এসেছিল। ভোট-বিপর্যয়ের ময়না-তদন্তেও দুর্নীতির বিষয়টি উঠে আসে। সেই প্রেক্ষিতেই পরবর্তী ক্ষেত্রে আবাস যোজনার উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার সময়ে শপথবাক্য পাঠ করানোর মতো ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। উপভোক্তাদের প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল, বাড়ি তৈরির টাকায় সম্পূর্ণ অধিকার তাঁদের। কেউ ওই বরাদ্দ থেকে অর্থ দাবি করলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছিল উপভোক্তাদের।

ফের একটি লোকসভা ভোট আসছে। তাই দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কড়া বার্তা দিয়েছেন দলের অন্দরে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে এসে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত পরিচালনায় স্বচ্ছতাকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ান্তরে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম পর্যালোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

তৃণমূলের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়ের কথায়, ‘‘তৃণমূল আপাদমস্তক এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত যে, পঞ্চায়েতের কাজের জন্যও নজরদারি কমিটি গড়তে হচ্ছে। ওই কমিটির বিরুদ্ধেই আবার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠবে না তো?’’ বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গার খোঁচা, ‘‘দুর্নীতি রোধে তৃণমূলের নজরদারি কমিটি গড়ার বিষয়টি সোনার পাথরবাটির মতো। যাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাননি, কমিটি গড়ে তাঁদের কাটমানি খাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে।’’ বিরোধীদের পাল্টা খোঁচা দিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, ওরা আগে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার দিকে নজর দিক।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC purulia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy