পাখির মাংস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে দশ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই পড়শি এক যুবকের বিরুদ্ধে। পাত্রসায়র থানার বালসি ২ পঞ্চায়েত এলাকার মঙ্গলবারের ঘটনা। নির্যাতিত ওই বালিকাকে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে ওই গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। বুধবার সকালে গ্রামের মানুষ অভিযুক্ত রঞ্জিত ওরফে বাহাদুর কেওড়া নামে ওই যুবককে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে তাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরে নির্যাতিতার বাবা রঞ্জিত কেওড়ার নামে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ রঞ্জিতকে গ্রেফতার করেছে। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “পাত্রসায়রের একটি গ্রামে দশ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে।”
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ওই বালিকা পাড়ায় খেলা করছিল। গ্রামেরই প্রাথমিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সে। পেশায় রাজমিস্ত্রি বছর চব্বিশের রঞ্জিত ওরফে বাহাদুর সেই সময় ওই বালিকাকে ডাকে। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, “রঞ্জিত প্রথমে আমার মেয়েকে তাদের বাড়িতে মাংস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ডাকে। এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ে কান্নাকাটি করলে রঞ্জিত ভোজালি দেখায়। চড়-থাপ্পড় মারে।’’ তিনি জানান, প্রথমে বাড়ির লোকজন কিছু বুঝতে পারেনি। মেয়েটিও ভয়ে কিছু জানায়নি। পরে গ্রামেরই একজনের কাছে টিউশন পড়তে মেয়ে যায়। সেখানে ওর অবস্থার অবনতি হওয়ায় গৃহশিক্ষক বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর ওকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন নার্সদের কাছে গ্রামেরই রঞ্জিত ওরফে বাহাদুর ওকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কী ভাবে অত্যাচার তালিয়েছে, মেয়ে তা জানায়। অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে পড়শিরা আটকে রাখে। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। এ দিন অবশ্য চেষ্টা করেও অভিযুক্তের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy