Advertisement
০৫ মে ২০২৪

এখনও শুরু হয়নি রাস্তা মেরামতি

সোনামুখী-দুর্গাপুর রাস্তায় কুলডাঙা মোড় থেকে ইন্দাসের বেলুট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার পাকা রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাঙামাটি গ্রাম থেকে বেরনোর মুখে কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা ভেঙে গিয়েছে।

রাস্তা মেরামত না হওয়ায় বালির বস্তা ফেলে তার উপর দিয়েই যাতায়াত করছেন রাঙামাটি গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: শুভ্র মিত্র

রাস্তা মেরামত না হওয়ায় বালির বস্তা ফেলে তার উপর দিয়েই যাতায়াত করছেন রাঙামাটি গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: শুভ্র মিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সোনামুখী শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২৬
Share: Save:

সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বন্যায় ভেসে যাওয়া রাস্তার মেরামতি শুরু হল না। সোনামুখী ব্লকের ডিহিপাড়া এবং রাধামোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় হাজার পাঁচেক বাসিন্দার দিন কাটছে হয়রানির মধ্যে দিয়ে। ছাত্রছাত্রী, প্রবীণ এবং অসুস্থ মানুষজন অসুবিধায় পড়ছেন। ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙামাটি, কেনিটি মানা, সমিতি মানা, পাণ্ডেপাড়া, উত্তর নিত্যানন্দপুরে প্রচুর আনাজ চাষ হয়। চাষি এবং ব্যবসায়ীরাও এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সোনামুখী-দুর্গাপুর রাস্তায় কুলডাঙা মোড় থেকে ইন্দাসের বেলুট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার পাকা রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কুলডাঙা থেকে রাঙামাটি যাওয়ার পথে একটি পুলের সংযোগকারী রাস্তার। জলের তোড়ে ওই রাস্তা ভেসে গিয়ে প্রায় পুকুরের চেহারা নিয়েছে। আলপথ দিয়ে যাতায়াত করছেন মানুষজন।

রাঙামাটি গ্রাম থেকে বেরনোর মুখে কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। সোনামুখীর কলেজ পড়ুয়া লাবনী সরকার, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবুরাম মণ্ডলরা বলেন, ‘‘রীতিমতো কসরৎ করে কলেজ যাওয়া-আসা করছি। একটু পা ফস্‌কালেই একেবারে জলের মধ্যে পড়তে হবে।’’ রাঙামাটি গ্রামের নবীন সরকার বলেন, ‘‘রাতে কেউ অসুস্থ হলে সব থেকে সমস্যা হচ্ছে।’’

কেনেটি মানা ২৫০টি পরিবার বসবাস করে। অনেকেই আনাজ চাষ করেন। একে তো বন্যায় চাষের ক্ষতি হয়েছে। যতটুকু ফসল বেচেছে সেটাও বড়জোড়া বা দুর্গাপুরের বাজারে নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরপথে ফসলের বস্তা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাঁদের। কেনিটি মানা গ্রামের মনোরঞ্জন বিশ্বাস, সুনীল সরকাররা বলেন, ‘‘কুলডাঙর গ্রামের কাছে ব্রিজের সংযোগ রাস্তার সারাইয়ের কাজ শুরু হওয়া দরকার ছিল। খুব সমস্যায় প়ড়েছি আমরা।’’ মানা সমিতি গ্রামে অনেক মোরাম রাস্তা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে বড় বড় গর্তের চেহারা নিয়েছে। বিভিন্ন বাড়ির উঠোন পেরিয়ে যাতায়াত করছেন এলাকার বাসিন্দারা। কলেজ পড়ুয়া মিলি হালদার, তন্দ্রা দাসরা জানান, কলজে আর টিউশন সেরে রাতে ফিরতে অন্ধকারে খুবই সমস্যা হচ্ছে।

সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন হাজরা বলেন, ‘‘কুলডাঙরের ব্রিজের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তাটি আপাতত যাতায়াতের মতো করে তৈরি করে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই ওই কাজ শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করব। অন্য রাস্তাগুলি পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির তহবিল থেকে দ্রুত সারাই করা হবে। সোমবার থেকেই কাজ শুরু হবে।’’ তিনি জানান, সরেজমিন দেখে ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।

কিন্তু এত দিন দেরি হচ্ছে কেন?

বিডিও (সোনামুখী) রিজাউল আহমেদ বলেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়াররা দেখেছেন। আবহাওয়ার জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। দ্রুত রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Repair Road সোনামুখী
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE