Advertisement
২৮ মে ২০২৪

গাড়ি নিয়ন্ত্রণের দাবি স্কুলের

বালির গাড়ির ধাক্কায় বিষ্ণুপুর থানা এলাকায় দুই শিক্ষকের মৃত্যুর পরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে এলাকায়। তাই এ বার বালির গাড়ির চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করার দাবি তুলেছেন বিষ্ণুপুর থানার গোঁসাইপুর রত্নেশ্বর হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৬ ০০:০৩
Share: Save:

বালির গাড়ির ধাক্কায় বিষ্ণুপুর থানা এলাকায় দুই শিক্ষকের মৃত্যুর পরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে এলাকায়। তাই এ বার বালির গাড়ির চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করার দাবি তুলেছেন বিষ্ণুপুর থানার গোঁসাইপুর রত্নেশ্বর হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের অভিযোগ, আমতলা মোড় থেকে তাঁতিপুকুর এবং আমতলা মোড় থেকে প্রকাশঘাট ও তাঁতিপুকুর মোড় থেকে তসরআড়া প্রভৃতি এলাকায় সারি সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে রাস্তা যেমন একদিকে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে, তেমনই রাস্তার বাকি অংশ দিয়ে দ্রুতগতিতে বালির গাড়ি যাতায়াত করায় বিপদ বেড়েছে। তাই ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রতি মুহূর্তে পথ দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের এ দিকে নজর নেই।

ওই রাস্তায় বিষ্ণুপুর থেকে মোটরবাইকে গোঁসাইপুর রত্নেশ্বর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতে আসেন বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমতলা মোড়ে ঢুকলেই ভয়ে বুক কাঁপে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে হু হু করে ছোটে বালির গাড়িগুলি। স্কুলে না পৌঁছনো পর্যন্ত দুর্গানাম জপতে হয়।’’ একই অভিজ্ঞতা ওই রাস্তায় সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসা দশম শ্রেণির ছাত্রী লোটিহিড় গ্রামের মৌসুমী কিস্কু ও নবম শ্রেণির বাঁধগাবা গ্রামের শুভজিৎ লোহারদের। তারাও জানিয়েছে, স্কুলে আসার সময় তাদেরও আতঙ্কে থাকতে হয়। অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, ওই রাস্তা যেন মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বেরিয়ে না ফেরা পর্যন্ত তাঁদের দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটাতে হয়। সবারই আক্ষেপ, পুলিশ ও প্রশাসন সব জানে। কিন্তু বালির গাড়ি নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা কেন করা হচ্ছে না, তাতেই তারা বিস্মিত।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিষকুমার নন্দীর অভিযোগ, ‘‘ওই রাস্তায় বাঁধগাবা, লটিহিড়, কামারপুকুর, দিগমারাডাঙা, বাবুরডাঙা, পানশিউলি, মোলকারি, নতুনগ্রাম, তীরবঙ্ক ইত্যাদি গ্রাম থেকে যে সকল ছাত্রছাত্রীরা আসে তাদের জন্য চিন্তা হয়। চিন্তিত অভিভাবক-অভিভাবিকারাও। তিনি জানান, এ কারণেই স্কুলের সময়ে ট্রাক চলাচল যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে জন্য স্কুল থেকে তাঁরা বিষ্ণুপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে চিঠি দিয়েছেন। বিষ্ণুপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক লাল্টু হালদার বলেন, ‘‘আমি বাইরে রয়েছি। তাই ওই চিঠি এখনও হাতে পাইনি। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Traffic Control in front of School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE