E-Paper

কম্বোডিয়ায় মৃত্যু মাড়গ্রামের বাসিন্দার

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি কম্বোডিয়ার উদ্যেশ্যে রওয়ানা দেন হামিম। সেখানে একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ০৯:০৯
আব্দুল হামিম(ইনসেটে),  মৃত হামিমের ছবি নিয়ে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে।

আব্দুল হামিম(ইনসেটে),  মৃত হামিমের ছবি নিয়ে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। নিজস্ব চিত্র।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কম্বোডিয়ায় কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল মাড়গ্রামের এক ব্যক্তির। পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল হামিম (৩৫)। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশ মন্ত্রক থেকে ফোন আসে জেলা পুলিশ দফতরে। তার পরে মাড়গ্রাম থানার পুলিশ হামিমের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃত্যুর ঘটনা জানায়।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি কম্বোডিয়ার উদ্যেশ্যে রওয়ানা দেন হামিম। সেখানে একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। চলতি মাসের ২০ তারিখ হামিম পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে শেষ কথা বলেন। শনিবার মাড়গ্রাম থানার পুলিশের মাধ্যমে বাড়িতে খবর দেওয়া হয় যে, কম্বোডিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু হয় আব্দুল হামি মের।

মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ পরিবার ও আত্মীয় স্বজনেরা। তাঁরা জানান, কম্বোডিয়া থেকে মৃতদেহ নিয়ে আসতে খরচ প্রায় ছ’লক্ষ টাকা। এত টাকা কী ভাবে জোগাড় করবেন, এখন সেই চিন্তাই করছেন মৃতদের পরিজনেরা। তাঁদের আরও দাবি, পুলিশ প্রশাসন যে তথ্য দিয়েছে তাতে মৃতের ছবি ও হাসপাতালের কোনও নথি দেখানো হয়নি।

মৃতের স্ত্রী মাইরা পারভিন বলেন, “স্বামীর সঙ্গে ২০ তারিখ শেষ কথা হয়েছিল। তার পরে ফোনে যোগাযোগ না হওয়ায় চিন্তায় ছিলাম। শনিবার মাড়গ্রাম থানার পুলিশ বাড়িতে খবর দেয়। এর পরে শ্বশুর থানায় গিয়ে জানতে পারেন স্বামীর হৃদ রোগে মৃত্যু হয়েছে।’’ মৃতের পরিবারের দাবি, যিনি আব্দুলকে কাজে নিয়ে গিয়েছিলেন ও কম্বোডিয়ায় যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মাইরার ক্ষোভ, ‘‘স্বামীর মৃত্যু যেদিন হয়েছে সেদিন কেন পরিবারকে জানানো হল না? প্রশাসনের কাছে আবেদন করব স্বামীকে বাড়ি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে। পরিবারের কাছে এত টাকা নেই যে দেহ বিদেশ থেকে বাড়ি নিয়ে আসবে।’’ এ দিন মৃতের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা ভিড় জমিয়েছেন তাঁর বাড়িতে। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে হামিমের স্ত্রী ফটো আগলে বসে আছেন স্বামীর। তাঁর আক্ষেপ, “স্বামীকে নিষেধ করেছিলাম বিদেশ যেতে। কথা না শুনে বেশি রোজগারের জন্য গিয়েছিলেন। সব শেষ হয়ে গেল। ছেলেকে কেমন করে মানুষ করব জানি না।”

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ও রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি সামিরুল ইসলাম বলেন, “রামপুরহাটের মহকুমাশাসক ও বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা হয়েছে। রবিবার হওয়ায় একটু সমস্যা হচ্ছে। গ্রামে দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cambodia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy