Advertisement
১৯ মে ২০২৪

সুদীপের নিরাপত্তা চেয়ে সরব কংগ্রেস

নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হলে পুরুলিয়ার বিধায়ককে প্রকাশ্য রাস্তায় হেনস্থা হতে হতো না বলে দাবি করল কংগ্রেস। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো প্রশ্ন তোলেন, ‘‘একজন বিধায়ক কেন নিরাপত্তারক্ষী পাবেন না? জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ও পুরুলিয়া সদর থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে এ ভাবে তাঁকে কেন আক্রান্ত হতে হবে?’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৬ ০২:১৮
Share: Save:

নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হলে পুরুলিয়ার বিধায়ককে প্রকাশ্য রাস্তায় হেনস্থা হতে হতো না বলে দাবি করল কংগ্রেস। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো প্রশ্ন তোলেন, ‘‘একজন বিধায়ক কেন নিরাপত্তারক্ষী পাবেন না? জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ও পুরুলিয়া সদর থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে এ ভাবে তাঁকে কেন আক্রান্ত হতে হবে?’’

সোমবার সকালে জেলা কংগ্রেস সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করার পরেই বিকেলে আবার পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। সেখানে দলের জেলা কোর কমিটির সদস্য নবেন্দু মাহালি সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করেন, ‘‘শনিবার রাতে থানায় আমাদের দলের যত কর্মী জড়ো হয়েছিলেন, তাতে অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারত। কারণ পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু আইনের উপর ভরসা রেখে কর্মীরা নিজেদের সংযত রেখেছিলেন।’’

শনিবার রাতে পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ড মোড়ে স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের দুই নেতা-কর্মীর বচসা থেকে হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। এক তৃণমূল কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় থানা চত্বরে। সেই প্রেক্ষিতে এ দিন কংগ্রেসের সাংবাদিক বৈঠক। সেখানে নেপালবাবু দাবি করেন, ‘‘বলা হচ্ছে সুদীপ একজন বিধায়ক হয়ে অন্যের গায়ে হাত তুলেছেন। তাঁর নিরাপত্তারক্ষী থাকলে তাঁকে কখনওই আত্মরক্ষায় কিছু করতে হতো না।’’ তাঁর অভিযোগ, শুধুমাত্র বিরোধী দলের বিধায়ক হওয়াতেই সুদীপকে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়নি।

নেপালবাবুর দাবি, তিনি ঘটনার কথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়েছেন। ওই বিধায়ককে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়নি বলে স্পিকারকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন নেপালবাবু। এ দিকে সোমবার নেপালবাবুর নেতৃত্বে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। এই দলে সুদীপ মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘পুলিশ সুপার আমাকে সুদীপের নিরাপত্তারক্ষীর জন্য আবেদন করতে বলেছেন। আমাদের প্রশ্ন এ জন্য আবেদন করতে হবে কেন? এটা তো তাঁর পাওয়ার কথা।’’

এ দিকে, বিধায়ক-সহ অভিযুক্ত কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেফতারের দাবি ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে এ দিন বিকেলে পথে নামে তৃণমূল। শহরে মিছিল করে পরে পুলিশ সুপারের অফিসের অফিসের বাইরে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। পথসভাও করা হয়। পুলিশ সুপারের কাছে আট দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দলের জেলা যুব সভাপতি গৌতম রায়ের উপর শনিবার রাতে থানায় পুলিশের সামনেই হামলা হয় বলে তৃণমূলের দাবি। ওই কর্মসূচিতে ছিলেন দলের সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো, জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, ‘‘দু’টি দল শনিবারের রাতের ঘটনা নিয়ে কিছু দাবি দাওয়া জমা দিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Congress MLA police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE