Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

সেচ ক্যানালের পাড় ভেঙে ভাসল বহু জমি

সপ্তাহ খানেক আগে জমিতে পোঁতা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জল সরলেও নতুন করে ধানের বীজ না থাকার জন্য চাষিদের পক্ষে ধান পোঁতা এখন সমস্যার।

ক্যানালের জলে ডুবে রয়েছে বিঘার পর বিঘা ধানজমি। নিজস্ব চিত্র

ক্যানালের জলে ডুবে রয়েছে বিঘার পর বিঘা ধানজমি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদতা
নলহাটি শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২৮
Share: Save:

অতিরিক্ত বৃষ্টিতে সেচ ক্যানালের পাড় ভেঙে প্রায় ৬০০ বিঘের বেশি ধান জমি ভেসে গেল। এর ফলে নলহাটি থানার কয়থা এবং মহেষপুর মৌজার শতাধিক চাষি ক্ষতিগ্রস্ত। সেচ দফতর থেকে জল সরে যাওয়ার পরে ক্যানাল পাড় পুনরায় মাটি দিয়ে বেঁধে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা কীভাবে পুনরায় চাষ শুরু করবে এই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে নলহাটি এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে সেচ বিভাগের পাইকপাড়া থেকে কয়থা হয়ে মহেষপুর ক্যানালের পাড়ের মাটি জলের তোড়ে জায়গায় জায়গায় খুলে যায়। জল কয়থাগ্রামের উত্তর দিকের মাঠে ঢুকে পড়ে। এতে কয়থা ও মহেষপুর মৌজার বিস্তীর্ণ এলাকার ধান জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। চাষিরা জানান, কয়থা, মহেষপুর, দেবগ্রাম— তিনখানি গ্রামের শতাধিক চাষির প্রায় ৬০০ বিঘের বেশি ধান জমিতে শুক্রবার সকাল থেকে জলের চাপে প্রায় এক থেকে দু’ফুট উচ্চতায় জল জমেছে। ফলে সপ্তাহ খানেক আগে জমিতে পোঁতা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জল সরলেও নতুন করে ধানের বীজ না থাকার জন্য চাষিদের পক্ষে ধান পোঁতা এখন সমস্যার।

কয়থা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত চাষি সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘চার দিন আগে ওই মাঠে পনের বিঘের বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। বিঘে প্রতি ১০০০ টাকা ক্ষেতমজুরি খরচ করে এবং বিঘে প্রতি ২০০০ টাকার ধানের বীজ রোপণ করে ধান পোঁতার কাজ শোধ করেছিলাম। আচমকা শুক্রবার সকালে সেচ ক্যানালের পাড় ভেঙে জমিতে জল ঢুকে গিয়েছে।’’

এলাকার আর এক চাষি মুজিবর রহমান বলেন, ‘‘ডুবে যাওয়া জমি থেকে কবে জল সরে যাবে জানি না। তবে জল সরলেও এলাকায় নতুন করে ধানের চাষ করতে পারা যাবে না। কারণ এলাকায় ধানের বীজের অভাব আছে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করে ধান চাষ করাও যাবে না। এই অবস্থায় এলাকার চাষিরা চরম বিপাকের মধ্যে পড়েছেন।’’

সেচ দফতরের নলহাটি বিভাগের সহকারি বাস্তুকার সুকান্ত দাস বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে সেচ ক্যানাল দিয়ে প্রবাহিত বৃষ্টির জল, মাঠের জল মিশে জলের তোড়ে কয়থা গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া সেচ ক্যানালের বেশ কিছু জায়গায় মাটি সরে গিয়েছে। এর ফলে জল ঢুকে বেশ কিছু এলাকায় ধান জমি জলের তলায়। কিছু জায়গার সেচ ক্যানালের পাড় সংস্কার করা হয়েছে। অনেক জায়গায় জল জমে থাকার জন্য মেরামতি করা যায়নি। জল সরলে মেরামতি করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE