এ ভাবেই পড়েছিল। নিজস্ব চিত্র
বাতিল কাগজপত্রের বস্তা থেকে মিলল প্রচুর আধার কার্ড। মিলেছে ডাক বিভাগের পাশবই ও বেশ কিছু খামও। সোমবার পুরুলিয়া শহরের বাতিল ও পুরনো কাগজপত্র বেচাকেনার একটি গুদামের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুরুলিয়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভগৎ সিংহ মোড়ের কাছে রয়েছে ওই গুদামটি। গুদামের কর্মীরা এ দিন বেলার দিকে একটি বস্তা খুলতে গিয়ে দেখেন, সেটির মধ্য়ে কাগজপত্রের সঙ্গে প্রচুর আধার কার্ডও রয়েছে। অন্য একটি বস্তা খুলেও দেখা যায়, সেটির ভিতরে ডাক বিভাগের পাশবই ও বেশ কিছু খাম রয়েছে।
খবর পেয়ে গুদামে পৌঁছয় পুলিশ। আসেন ডাক বিভাগের কর্মীরাও। গুদামের মালিকের দাবি, বাতিল ও পুরনো কাগজপত্র কেনাবেচার অনুমতি রয়েছে তাঁর। ফেরিওয়ালারা বিভিন্ন সময়ে বস্তাবন্দি করে পুরনো বা বাতিল কাগজপত্র গুদামে দিয়ে যান। সে ভাবে কোনও ফেরিওয়ালা ওই বস্তাগুলিও দিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ পরে গুদাম ঘুরে এমন ১৪টি বস্তা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বাকি বস্তাগুলিতেও আধার কার্ড বা ডাক বিভাগের পাশবই রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
গুদামের মালিক মোকাররাম আলি বলেন, “কিছুদিন আগে ওই বস্তাগুলি কোনও ফেরিওয়ালা বেচে গিয়েছিলেন। বাতিল, পুরনো কাগজের বস্তা থেকে যে আধার কার্ড বেরোবে, তা জানা ছিল না। অন্য ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে যে ভাবে বাতিল কাগজপত্র কেনা হয়, এগুলিও সে ভাবে কেনা হয়েছিল।” ফেরিওয়ালারা কখন কাগজগুলি দিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের পরিচয় কী ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে পুলিশ গুদামের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এ দিকে, ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া ডাক বিভাগ। সহকারী সুপার পদমর্যাদার এক আধিকারিককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কতগুলি আধার কার্ড বা পাশবই মিলেছে বা আধার কার্ডগুলি কোন এলাকার, তা নিয়ে যদিও মুখ খুলতে চাননি ডাক বিভাগের কর্তারা। এক আধিকারিক বলেন, “কতগুলি আধার কার্ড রয়েছে, সেগুলি এই জেলার নাকি বাইরের, পাশবইগুলি বাতিল কি না, এ সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আধার কার্ড এ ভাবে রদ্দির সঙ্গে পাওয়ার কথা নয়। প্রাপককে না পাওয়া গেলে প্রেরকের ঠিকানায় তা ফেরত যাওয়ার কথা।” পুরুলিয়া ডাক বিভাগের সুপার নির্মলচন্দ্র সরেন বলেন, “ঘটনাটি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে সব বিষয়স্পষ্ট হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy