Advertisement
১১ মে ২০২৪

সিউড়িতে খুলে গেল সুফল বাংলার বিপণি

কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে খবর, টাটকা কয়েল মুরগি, হাঁসের ডিম, মাংস থেকে, দই, দুধ, পনীর, কাসুন্দি, জ্যাম, জেলি, বিভিন্ন ফুলের মধু থেকে গোবিন্দভোগ চালের চিঁড়ে থেকে তুলাইপাঞ্জি, কালো মুনিয়ার মতো দুর্লভ চাল, এমনকি ঢেঁকি ছাটা চাল সবই মিলবে বিপণিতে।

টাটকা: লালকুঠি পাড়ার সরকারি আবাসনে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

টাটকা: লালকুঠি পাড়ার সরকারি আবাসনে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ০০:২৮
Share: Save:

বোলপুরের পরে সিউড়িতেও খুলে গেল সুফল বাংলা বিপণি।

রাজ্য সরকাররের কৃষি বিপণন দফতরের তত্ত্বাবধানে সোমবার ৪৫তম বিপণির সূচনা হল সিউড়ির লালকুঠিপাড়া, সরকারি আবাসন কমপ্লেক্সে। সূচনা করলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। ছিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল, সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, সুফল বাংলার প্রকল্প অধিকারিক গৌতম মুখোপাধ্যায়, পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফল থেকে সব্জি, মাংস, দুধ, দই-সহ প্রযোজনীয় সামগ্রী যাতে এক ছাতার তলায় মেলে সেই ভাবনা থেকেই সুফল বাংলা বিপণি।

কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে খবর, টাটকা কয়েল মুরগি, হাঁসের ডিম, মাংস থেকে, দই, দুধ, পনীর, কাসুন্দি, জ্যাম, জেলি, বিভিন্ন ফুলের মধু থেকে গোবিন্দভোগ চালের চিঁড়ে থেকে তুলাইপাঞ্জি, কালো মুনিয়ার মতো দুর্লভ চাল, এমনকি ঢেঁকি ছাটা চাল সবই মিলবে বিপণিতে। এবং সেটা খোলা বাজারের থেকে কম দামে। তবে শুধু বিপণিতে এসেই নয় নিজের এলাকাতেও একই দ্রব্য সংগ্রহ করার ব্যবস্থা রয়েছে।

বোলপুরের বিপণি থেকে দুটি ভ্রাম্যমান ভ্যান রয়েছে যেগুলি বোলপুরের দুটি এলাকায় পৌঁছে যায়। সিউড়ির ক্ষেত্রেও তেমনই ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলাশাসক সেই পয়েন্টগুলি চিহ্নিত করলে সকাল বিকাল পৌঁছে যাবে সফল বাংলার ভ্রাম্যমান ভ্যান। মন্ত্রী জানান, সিউড়ির পরে আমোদপুর, রামপুরহাট, তারাপীঠে পুজোর পরই খুলবে বিপণি। পরের ধাপে দুবরাজপুর, নলহাটি, কঙ্কালীতলাও গড়ে উঠবে এমন বিপণি। জেলাশাসক বলেন, ‘‘লোকালয়ের মধ্যে গড়ে ওঠা এই বিপণিকে সফল ভাবে চালাতে সমস্ত আয়োজন করা হয়েছে।’’

সুফল বাংলার প্রকল্প অধিকারিক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য ও জেলার চাষিদের কাছ থেকে তাঁদের উৎপাদিত নানা ফসল ও দ্রব্য সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে সুফল বাংলা। মধ্যসত্ত্বভোগীরা না থাকায় জিনিসপত্রের দাম তুলনায় কম।’’ ঠিক হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের কেনাকাটা করলে প্রথম ৪০০ জন খদ্দেরকে একটি সুদৃশ্য চটের থলে দেওয়া হবে। গৌতমবাবু বলছেন, ‘‘প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার না করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির করার উদ্দেশেই এটা করা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE