প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখ আনতে পুরনো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের পুরভোটে টিকিটই দিল না তৃণমূল। বাদ যাওয়া নেতাদের মধ্যে অন্যতম পুরুলিয়ার পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায়, রঘুনাথপুরের বর্ষীয়ান নেতা তথা পুরসভার দলনেতা বিষ্ণুচরণ মেহেতা ও উপ পুরপ্রধান বাসুদেব তিওয়ারি। উল্লেখযোগ্য ভাবে এ বার পুরুলিয়া পুরসভায় প্রার্থী করা হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক কে পি সিংহদেও-কে।
রবিবার বিকালে পুরুলিয়া জেলার তিনটি পুরসভা পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর ও ঝালদার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুরুলিয়ায় গতবার জেতা ১১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে বাদ পড়েছেন ৭ জনই। রঘুনাথপুরে গতবারের ৯ কাউন্সিলরের মধ্যে শুধুমাত্র টিকিট পেয়েছেন পুরপ্রধান মদন বরাট ও নিমাই বাউরি। এই পুরসভাতেও ৭ জনকে এ বার আর প্রার্থী করতে চায়নি দল। তবে ঝালদার ক্ষেত্রে পুরোটাই নতুন তালিকা। প্রসঙ্গত ঝালদায় গতবার তৃণমূলের কোনও প্রার্থী জেতেননি।
পুরভোটের মনোনয়ন তোলার শেষদিন ২৫ মার্চ। ফলে রবিবার দুপুর পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত না হওয়ায় রীতিমত ধন্ধে ছিলেন পুরশহরগুলির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। দল সূত্রের খবর, প্রথমে স্থির হয়েছিল রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা পুরুলিয়ায় দলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় এসে দলীয় কার্যালয় থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ভবন থেকে থেকে চূড়ান্ত তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলায়।
বস্তুত তালিকা প্রকাশের পরে দেখা যাচ্ছে পুরুলিয়ায় বিধায়ক কে পি সিংহদেওর অনুগামীদের মধ্যে অনেকেই টিকিট পেয়েছেন। বিধায়ক নিজেও প্রার্থী হয়েছেন ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। দল সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছর ধরে পুরুলিয়ায় পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে ভাবে পুরবোর্ড পরিচালিত হয়েছে, তাতে দলের অভ্যন্তরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। ফলে এ বার তারকেশবাবুকে প্রার্থী না করার ব্যাপারে দলে মোটামুটি সিদ্ধান্ত আগে থেকে নেওয়াই হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি তারকেশবাবুর ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত হয়ে পড়ায় তাঁকে অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে দলের মধ্যেই আপত্তি উঠেছিল। দল থেকে এ বার টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন কিছু কাউন্সিলরও। ইতিমধ্যে টিকিট না পেলে তাঁরা আলাদা মঞ্চ গড়ে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে বৈঠকও করেছেন।
অন্য দিকে, রঘুনাথপুরের ক্ষেত্রে পুরপ্রধান মদন বরাট টিকিট পেলেও বাদ গেছেন উপপুরপ্রধান বাসুদেব তিওয়ারি ও পুরসভার দলনেতা বিষ্ণুচরণ মেহেতা। এ ক্ষেত্রে অবশ্য দলের যুক্তি, এই দুই নেতার জেতা ওয়ার্ডগুলি সংরক্ষিত হয়ে পড়ায় তাঁদের এ বার প্রার্থী করা হয়নি।
জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো আগেই জানিয়েছিলেন, জেতা কাউন্সিলরদের অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে তাঁদের জেতার সম্ভবনা খতিয়ে দেখেই প্রার্থী করা হবে। পুরুলিয়ার পুরপ্রধান এবং রঘুনাথপুরের দুই নেতাকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই যুক্তিই দিয়েছেন দলের অন্যতম নেতা নবেন্দু মাহালি।
শান্তিরামবাবু এ দিন বলেন, “নতুনদের পুরভোটে সুযোগ দেওয়ার পাশপাশি কিছু ওয়ার্ডের নিজস্ব সমীকরণ অনুযায়ী সেখানে গতবারের কাউন্সিলদেরই প্রার্থী করা হয়েছে। আমরা তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy