পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনা, শারীরশিক্ষা এবং কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা-সহ একাধিক প্রস্তাব গৃহীত হল পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সম্মেলনে। সংগঠনের বীরভূম ও বোলপুর মহকুমার দশম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে গৃহীত ওই প্রস্তাবগুলি পাঠানো হচ্ছে রাজ্য সংগঠনের কাছে। রাজ্য সম্মেলনের বৈঠকে আলোচনার পরে ওই প্রস্তাব পাঠানো হবে শিক্ষা দফতরে।
এ দিন ওই সভা হয় বোলপুরের বাঁধগোড়া কালীকৃষ্ণ বিদ্যালয়ে। সেখানে জেলার বিভিন্ন স্কুলের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মুলুক শাখার অধ্যক্ষ স্বামী সঙ্ঘমিত্রানন্দ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বও। সেখানে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল চালুর জোরাল দাবি ওঠে। স্কুলের সার্বিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা, বিভিন্ন স্তরে কর্মী নিয়োগ-সহ ডিআই অফিসে কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর জন্যে অবিলম্বে কর্মীদের নিয়োগের দাবিও ওঠে।
স্কুলের নতুন ভবন তৈরির জন্যে সর্বশিক্ষা মিশনের অর্থ বরাদ্দ করলেও, পুরনো ঘর এবং পরিকাঠামো সংস্কারের জন্যে কোনও বরাদ্দ নেই বলে অভিযোগ সংগঠনের। তাতে বহু স্কুলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সংগঠনের বীরভূম জেলা সম্পাদক চিন্ময় মণ্ডল জানান, পরিবেশ বিজ্ঞানের পঠনপাঠনের জন্যে আলাদা শিক্ষক নিয়োগ, বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক, করণিক, রাত পাহারার জন্যে কর্মী নিয়োগের দাবিও উঠে এসেছে। তাঁর কথায়, ‘‘এক জন সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হয়ে অবসরও নিচ্ছেন ওই পদে। তাই পদোন্নতি জরুরি। এ ছাড়াও এলটিসি, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার আর্জিও রাখা হয়েছে।’’
এই সংগঠন অরাজনৈতিক ভাবে ১৯৪৮ সাল থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে দাবি সংগঠনের নেতৃত্বের। সম্প্রতি স্কুলস্তরে পাঠ্যক্রমে বদল হলেও পরিকল্পনায় বেশ কিছু ঘাটতি থেকে গিয়েছে বলে মনে করেন রাজ্য সংগঠনের সম্পাদক রূপচাঁদ মণ্ডল। সেগুলির সংশোধন জরুরি বলে মনে করেন সংগঠনের অন্য নেতৃত্বও। এ দিনের সম্মেলনে আলোচিত বিষয় এবং গৃহীত প্রস্তাব রাজ্য সম্মেলনে আলোচনা করে শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্ব। এ দিনের সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বোলপুর মহকুমা নেতৃত্বের সভাপতি দীনবন্ধু দাস, সম্পাদক শৈবাল গড়াইরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy