Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Sculpture

ধাদকির জমি খুঁড়ে মিলল প্রাচীন মূর্তির মাথা

ধাদকি গ্রামে খননকার্য চালালে এমন আরও মূর্তির হদিস মিলতে পারে জানিয়ে তাঁর সংযোজন, “তীর্থঙ্কর ও বুদ্ধমূর্তির মস্তকে সাদৃশ্য হওয়ায় অনেকে ফারাক করতে পারেন না।”

An image of a sculpture

উদ্ধার হওয়া মূর্তি। —নিজস্ব চিত্র। 

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুঞ্চা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৩ ০৯:১৬
Share: Save:

পাথরের তৈরি প্রাচীন একটি মূর্তির মস্তক উদ্ধার হল পুঞ্চার ধাদকি গ্রামে। সোমবার রাতে পুঞ্চা থানায় বিডিও অনিন্দ্য ভট্টাচার্য ও মানবাজারের সিআই কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সেটি জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সিদ্ধার্থ জানান, রাজ্যের প্রত্ন সংগ্রহশালায় সেটি জায়গা পাবে। জেলার ইতিহাস গবেষকদের প্রাথমিক অনুমান, সেটি কোনও তীর্থঙ্করের মূর্তির অংশ হতে পারে। পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে ধাদকিতে প্রত্নসামগ্রীটি উদ্ধার হয়। ওই গ্রামের বাসিন্দা ঝণ্টু বাউরি বলেন, “বাড়ির কাছে জমিতে দেখি, ভারী গোলাকার একটা জিনিস মাটি থেকে খানিকটা বেরিয়ে রয়েছে। মাটি খুঁড়ে বার করে ধুয়ে দেখি, প্রাচীন পাথরের তৈরি মূর্তির মাথা। জায়গায় জায়গায় ক্ষয়ে গিয়েছে। পরে, পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের কাছে তা জমা দিই।”

মূর্তিটি কার হতে পারে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ একে বুদ্ধমূর্তির অংশ বলে দাবি করছেন। পুঞ্চা জৈন ধর্মের প্রসারক্ষেত্র হিসাবে চিহ্নিত। সেখানে বুদ্ধমূর্তি মিললে ইতিহাসের নতুন দিক খুলে যাবে, মত তাঁদের। তবে পুঞ্চায় এক সময়ে ক্ষেত্রসমীক্ষা করা পুরুলিয়ার লোক-গবেষক সুভাষ রায় তা মানতে নারাজ। তিনি জানান, এটি আনুমানিক নবম-দশম শতাব্দীতে গ্রানাইট পাথরে তৈরি কোনও তীর্থঙ্করের মূর্তির অংশ। তাঁর কথায়, “পুঞ্চা ও লাগোয়া এলাকা এক সময়ে জৈনধর্ম প্রসারের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল। ইতিহাসবিদ জেডি বেগলারের রিপোর্টেও তারউল্লেখ রয়েছে।”

ধাদকি গ্রামে খননকার্য চালালে এমন আরও মূর্তির হদিস মিলতে পারে জানিয়ে তাঁর সংযোজন, “তীর্থঙ্কর ও বুদ্ধমূর্তির মস্তকে সাদৃশ্য হওয়ায় অনেকে ফারাক করতে পারেন না। লক্ষণ দেখে ২৩ জন তীর্থঙ্করের পরিচিতি আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা হয়। যেমন, পার্শ্বনাথের মূর্তির তলায় সর্প, ঋষভনাথের ষাঁড়, শান্তিনাথের হরিণ চিহ্ন থাকে। তবে এটি যেহেতু খণ্ডিত অংশ, তাই কোন তীর্থঙ্করের বলা মুশকিল।” মানভূম কলেজের ইতিহাসের শিক্ষক প্রদীপ মণ্ডলেরও মত, এ জেলায় বৌদ্ধধর্মের প্রসারের কথা ইতিহাসে মেলে না। ওই প্রস্তরমূর্তি তীর্থঙ্করের বলে মনে হয়। পাকবিড়রা সংগ্রহশালায় এ ধরনের মূর্তি রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sculpture ancient History
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE