Advertisement
E-Paper

তৃণমূলত্যাগীদের ঠাঁই কংগ্রেসের তালিকায়, বাদ দলেরই কাউন্সিলর

শাসকদলের প্রার্থী তালিকা নাম নেই দেখে বিদায়ী পুরপুধান শিবির বদলে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আর এক কাউন্সিলর নাম বাদ পড়তে চলেছে আঁচ করে দাদার হাত ধরে আগেই শিবির বদলে ছিলেন। পুরুলিয়ার সেই বিদায়ী পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় ও কাউন্সিলর প্রদীপ মুখোপাধ্যায় কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে পুরুলিয়ার পুরভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়লেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৫ ০২:৪০
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু বুধবার পুরুলিয়ায় মাইক বাজিয়ে মিছিল করে পুলিশ সুপারের অফিসের পাশ দিয়ে মনোনয়ন দিতে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী দত্ত। পরে তিনি বলেন, “কর্মীরা অতি উৎসাহে মাইক বাজিয়েছে। পরীক্ষার কথা মাথায় ছিল না।” ছবি: সুজিত মাহাতো

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু বুধবার পুরুলিয়ায় মাইক বাজিয়ে মিছিল করে পুলিশ সুপারের অফিসের পাশ দিয়ে মনোনয়ন দিতে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী দত্ত। পরে তিনি বলেন, “কর্মীরা অতি উৎসাহে মাইক বাজিয়েছে। পরীক্ষার কথা মাথায় ছিল না।” ছবি: সুজিত মাহাতো

শাসকদলের প্রার্থী তালিকা নাম নেই দেখে বিদায়ী পুরপুধান শিবির বদলে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আর এক কাউন্সিলর নাম বাদ পড়তে চলেছে আঁচ করে দাদার হাত ধরে আগেই শিবির বদলে ছিলেন। পুরুলিয়ার সেই বিদায়ী পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় ও কাউন্সিলর প্রদীপ মুখোপাধ্যায় কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে পুরুলিয়ার পুরভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়লেন। তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন আর এক প্রাক্তন তৃণমূল নেতা গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় ওই তিনজনের নাম কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে প্রদীপবাবুর দাদা তথা প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সম্পাদক সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে অবশ্য প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। এ দিন দুপুরে যখন কংগ্রেস তাদের জেলা দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে তখন নিজের মনোনয়ন জমা দিতে তিনি মহকুমাশাসকের দফতরে ব্যস্ত। মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে হাসতে হাসতে বলেন, “খেলাটাই মুখ্য। আমি খেলতেই অভ্যস্ত।”

পুরুলিয়ার পুরভোটে তারকেশ চট্টোপাধ্যায় অত্যন্ত পরিচিত নাম। তিনি বলেন, “সেই ১৯৮১, ১৯৮৬, ১৯৯০, ১৯৯৫, ২০০০ সাল, প্রতিবারই উদীয়মান সূর্য চিহ্নে আমি লড়েছি। মানুষ আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। ২০০৫ সালে তৃণমূলের ঘাসফুলের প্রতীকে লড়ে অবশ্য জিততে পারিনি। তবে ২০১০ সালে ফের তৃণমূলের টিকিটে লড়ে আমি পুরপ্রধান হই।” কংগ্রেসে যোগ দিয়েও কেন নির্দল হয়ে দাঁড়ালেন? তারকেশবাবুর জবাব, “অতীতে একাধিকবার উদীয়মান সূর্য প্রতীকে লড়েছি। তাছাড়া এলাকার মানুষজনও চাইছেন আমি এই চিহ্নেই লড়াই করি।” ফের পুরনো শিবিরে ফিরে আসার কারণেই কি নির্দল প্রার্থী হয়ে পথ খোলা রাখছেন? তাঁর উত্তর, “না না, তা নয়। কর্মীদের কথাতেই এই প্রতীকে নামছি।” তার নেতৃত্বে তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে মানুষের অসন্তোষ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তারকেশবাবুর সাফাই, “আমার একার দায় নয়। সবাই মিলে সাধ্যমতো কাজ করার চেষ্টা করেছি। তবু আমার দিকেই কেন অভিযোগের তির জানি না।”

তৃণমূল ত্যাগী প্রদীপবাবু লড়ছেন নিজের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই। সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম রায়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল বিধায়ক কেপি সিংহ দেওয়ের মুখোমুখি আর এক দলত্যাগী গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। তিনি এই ওয়ার্ড থেকে লড়তে চেয়েছিলেন। টিকিট না পেয়ে তিনি এখন নির্দল। ওই দুই দলত্যাগীরই দাবি, “এলাকার মানুষ চাইছেন বলেই নির্দল হয়েই লড়ছি।”

তবে এ দিনও কংগ্রেস পুরুলিয়া পুরসভার সম্পূর্ণ তালিকা দিতে পারেনি। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এ দিন সন্ধ্যা অবধি কোনও নাম ঘোষণা করা হয়নি। জেলা কংগ্রেসের সহসভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, “ওই ওয়ার্ডের প্রার্থীর নাম আমরা বুধবারই জানিয়ে দেব।” তবে কংগ্রেস এ বার বিদায়ী চার কাউন্সিলরকে টিকিট দেয়নি। রথীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “ওই তিনজনের ক্ষেত্রেই ওয়ার্ডগুলি সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। অন্যজন পাশের ওয়ার্ডে লড়তে রাজি হননি।”

police Tarakesh Chattopadhyay congress tmc trinamool municipal election HS examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy