—প্রতীকী চিত্র।
ত্রিশঙ্কু থাকা পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন ছিল তৃণমূলের। তবে ‘বিরোধী-ঐক্যের’ কাছে হেরে শেষমেষ পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল তাদের। সিপিএম ও কুড়মি সমর্থিত নির্দলদের সমর্থনে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের অম্বিকানগর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। বিজেপির দীপালি ভুঁইয়া প্রধান ও সিপিএমের নিরঞ্জন বাগদি উপপ্রধান হয়েছেন।
১৫ আসনের ওই পঞ্চায়েতে এ বারে সাতটি আসন পায় তৃণমূল। বিজেপি তিনটি, কুড়মি সমাজ সমর্থিত নির্দল তিনটি এবং সিপিএম দু’টি আসনে জেতে।
রানিবাঁধ ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম কুম্ভকারের দাবি, প্রয়োজন মনে করলে কারও এক জনের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গড়তে পারত শাসকদল। কিন্তু জনগণের রায় মাথা পেতে নিয়ে তা করা হয়নি। জোট নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, “পরস্পরের বিরোধী বলে দাবি করলেও বাস্তবে যে রাম-বাম একই, তা প্রমাণ হল। আর কুড়মিরা সমাজ আন্দোলনের নাম করে ভোট জিতে বোর্ড গঠনে বিজেপি ও সিপিএমকে সমর্থন করায় তারাও যে রাজনীতি করছেন, তা পরিষ্কার
হয়ে গেল।”
বিজেপির রানিবাঁধ মণ্ডল ১-এর সভাপতি তপন মাহাতোর তবে দাবি, “রাজ্যে শাসকদলের সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত গড়ে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের কাজ করতেই এই জোট।” সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে কী হয়েছে, জানা নেই। বোর্ড গঠনে বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন দলের সিদ্ধান্ত নয়। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে ওই সদস্যদের।”
সমাজ ওই সদস্যদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিত মাহাতোও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy