দলেরই উপপ্রধানের আনা অনাস্থায় অবশেষে সরতে হল কুইলাপাল পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সনকা সোরেনকে। সোমবার বান্দোয়ানের ওই পঞ্চায়েতটিতে অনাস্থার তলবি সভা ছিল। সেই সভায় প্রধান এবং তৃণমূলের এক সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। বিডিও (বান্দোয়ান) অমলেন্দু সমাদ্দার জানান, বাকি চার সদস্য হাজির থাকায় সভার কোরাম হয়। উপস্থিত সদস্যেরা প্রত্যেকেই অনাস্থার পক্ষে মত দেওয়ায় পদচ্যুত হয়েছেন প্রধান।
১৩ জুলাই প্রধানের বিরুদ্ধে ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান তৃণমূলের নির্মল সোরেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার দুই সদস্য এবং সিপিএমের এক সদস্যকে নিয়ে অনাস্থার চিঠি জমা দেন। তারই ভিত্তিতে এ দিনের তলবি সভা হয়। তবে ওই পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এই প্রথম নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুইলাপালের ৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৩টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ২টি এবং সিপিএম ১টিতে জিতেছিল। বোর্ড গঠনের এক বছরের মধ্যেই সনকাদেবীর বিরুদ্ধে নির্মলবাবু-সহ ওই চার জন অনাস্থা আনেন। সে যাত্রা দলের মধ্যেই তৃণমূল নেতারা বিষয়টি মিটিয়ে নিতে পেরেছিলেন। সেই ঘটনার পরে সরকারি নির্দেশিকা মোতাবেক বোর্ড গঠনের আড়াই বছরের মধ্যে অনাস্থার আনার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
সম্প্রতি সেই সময়সীমা পার হওয়ার পরে, ১৪ জুন ওই চার সদস্য নতুন করে অনাস্থার আবেদন জমা করেন। কিন্তু অনাস্থার চিঠি প্রধানকে না দেওয়ায় আবেদন বাতিল হয়ে যায়। সেই সময় বিডিও জানিয়েছিলেন, হাইকোর্ট থেকে অনাস্থা সংক্রান্ত একটি রিট পিটিশনের কপি জমা পড়ায় সেই সময় সনকাদেবীই প্রধান হিসাবে কাজ চালাবেন।
১৩ জুলাই নতুন করে অনাস্থা এনে প্রধানকে পদচ্যুত করেন তাঁরা। নির্মলবাবু বলেন, ‘‘এর আগে নানা অজুহাতে আমাদের আনা অনাস্থার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদেরই জয় হল।’’ সনকাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘শরীর খারাপ থাকায় তলবি সভায় যেতে পারিনি।’’ বিডিও জানিয়েছেন, পাঁচ দিনের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচনের জন্য সদস্যদের চিঠি পাঠানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy