Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Siksha Ratna

পড়ুয়াদের স্কুলে ফিরিয়ে শিক্ষারত্ন দুই শিক্ষকের

ময়ূরেশ্বর থানার কলেশ্বরের বাসিন্দা নীলমাধব নাগ। ১৯৯০ সালে তিনি দুবরাজপুরের ওই স্কুলে বাংলার শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বাংলায় পিএইচডি।

নীলমাধব নাগ ও আনসারুল হক। নিজস্ব িচত্র

নীলমাধব নাগ ও আনসারুল হক। নিজস্ব িচত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:২৯
Share: Save:

শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন জেলার দুই শিক্ষক। দুবরাজপুর রায়বাহাদুর শেডমল ডালমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলের সহ প্রধান শিক্ষক নীলমাধব নাগ এবং পাইকরের দাঁতুড়া প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনসারুল হক। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শিক্ষক দিবসের দিন, অর্থাৎ সোমবার তাঁদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।

ময়ূরেশ্বর থানার কলেশ্বরের বাসিন্দা নীলমাধব নাগ। ১৯৯০ সালে তিনি দুবরাজপুরের ওই স্কুলে বাংলার শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বাংলায় পিএইচডি। বীরভূমের আঞ্চলিক ভাষা সংক্রান্ত তাঁর একটি বই রয়েছে। এ ছাড়া, নানা বিষয়ে বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। পাশাপাশি, জেলা ও রাজ্যের একাধিক পত্র, পত্রিকায় নিয়মিত তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করে তোলা এবং পড়ুয়াদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলতেও তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

অন্য দিকে, পাইকর দাঁতুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনসারুল হকও পড়ুয়াদের স্কুলমূখী করে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ওই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, আনসারুলবাবু পাইকরের বাসিন্দা। তিনি ১৯৯৭ সালে প্রথম হিয়াতনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৮ সালে তিনি পাইকরের দাঁতুড়া প্রাথমিক স্কুলে যোগদান করেন। করোনার সময়ে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের ভর্তি হার কমে গিয়েছিল। সেই সময়ে তিনি প্রথম বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। টানা প্রায় দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের পড়ার প্রতি আগ্রহ কমেছিল। অনেক পড়ুয়া অক্ষরই ভুলে গিয়েছিল। তাই পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনে আগ্রহী করে তুলতে তিনি খেলার মাধ্যমে পাঠদান প্রক্রিয়া স্কুলে চালু করেছিলেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষারত্ন পাওয়ার পাঁচটি মাপকাঠি রয়েছে। সেগুলি পূরণ করতে পারলে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই মানদণ্ড পূরণ করে জেলার দুই শিক্ষককে এ বছর শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন। পুরস্কার পেয়ে খুশি দুই শিক্ষকই। তাঁরা বলেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে। এই আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Siksha Ratna suri School Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE