Advertisement
E-Paper

দু’টাকার চাল চেয়ে বিক্ষোভ

বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরুলিয়া জেলার সমস্ত ব্লকেই দু’টাকা কেজি দামে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচন পেরিয়ে যেতেই জঙ্গলমহলের ব্লকগুলো ছাড়া বাকি ব্লকে ওই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৪
পুরুলিয়ায় খাদ্য নিয়ামকের অফিসে। মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র।

পুরুলিয়ায় খাদ্য নিয়ামকের অফিসে। মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরুলিয়া জেলার সমস্ত ব্লকেই দু’টাকা কেজি দামে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচন পেরিয়ে যেতেই জঙ্গলমহলের ব্লকগুলো ছাড়া বাকি ব্লকে ওই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলি করা হচ্ছে বলেও তাদের অভিযোগ। এই দুই অভিযোগ তুলে জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতরে মঙ্গলবার যৌথ ভাবে স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। এই কর্মসূচিতে ভালই জমায়েত হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায়, জেলা পরিষদে কংগ্রেসের সদস্য উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএম নেতা কৌশিক মজুমদার, সিপিএমের প্রাক্তন পুরপ্রধান বিনায়ক ভট্টাটার্য, পিডিএস নেতা নটবর বাগদি প্রমুখ।

পুরুলিয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই আন্দোলনের নানা কর্মসূচি নিচ্ছে এই বিরোধী জোট। নির্বাচনের পরেও জোটের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এ দিন শহরের জুবিলি ময়দান থেকে জোটের কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল শুরু করে শহরের একাংশ ঘুরে জেলা খাদ্য নিয়ামকের কার্যালয়ের সামনে জমায়েত করে। পুলিশের হিসাবে অন্তত হাজার দেড়েক লোক হয়েছিল। বিধায়কের অভিযোগ, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার পুরুলিয়ার সমস্ত ব্লকে দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। খাদ্য দফতর চাল দেওয়া শুরুও করেছিল। কিন্তু নির্বাচন মিটতেই জঙ্গলমহল বাদে অন্যান্য ব্লকে দু’টাকার চাল দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ এ ছাড়াও ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়েও একাধিক অভিযোগ এ দিন তুলেছেন তাঁরা। ত্রুটিপূর্ণ রেশন কার্ড বদলে ক্রুটিহীন রেশন কার্ড দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে আবার আবেদন করেও ডিজিটাল রেশন কার্ড পাননি।

এই অভিযোগগুলির বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ামক লতিফুদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘দু’টাকা কেজি দামে চাল দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ সঠিক নয়। শুধু মাত্র খরার দরুণ জেলায় এপিএল তালিকাভুক্তদেরও ওই দামে চাল দেওয়া হচ্ছিল। তা চলতি সপ্তাহ থেকে বন্ধ হচ্ছে। কারণ রেশন কার্ড পরিবর্তন করা হচ্ছে।’’ তিনি স্বীকার করেছেন, ডিজিটাল রেশন কার্ডে কিছু গলদ রয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ামক জানান, ত্রুটিপূর্ণ রেশন কার্ড বদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Villagers Agitated 2 Rupees rice
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy