E-Paper

চরে প্রহরা, মুদ্রা ফিরিয়ে দিচ্ছেন গ্রামবাসী

ক’দিন আগেই ওই নদীর চর থেকে সোনার মুদ্রা মিলছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ সোনার খোঁজে নদীতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। প্রশাসনের নজরে আসতেই জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩ ০৮:৪৭
পারকান্দির বাঁশলৈ নদীর চরে প্রহরা। নিজস্ব চিত্র

পারকান্দির বাঁশলৈ নদীর চরে প্রহরা। নিজস্ব চিত্র

নদীর চরে মুদ্রা পাওয়ার ঘটনায় ৬৮টি মুদ্রা উদ্ধার করল পুলিশ। পারকান্দি গ্রামের কাছে বাঁশলৈ নদীর ওই একশো মিটার জায়গা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী শিবির। সেখানেই পুলিশ প্রশাসন ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছে।

শনিবার এলাকা পরিদর্শনে যান মুরারই ১ ব্লকের আধিকারিক ও মাইনিং দফতরের আধিকারিকরা। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গ্রামের যে সমস্ত মানুষ মুদ্রা পেয়েছিলেন তাঁরা নিজেরাই থানায় জমা দিয়ে যাচ্ছেন।’’

ক’দিন আগেই ওই নদীর চর থেকে সোনার মুদ্রা মিলছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ সোনার খোঁজে নদীতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। প্রশাসনের নজরে আসতেই জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হয়। প্রাচীন মুদ্রার সংরক্ষণের দাবি তোলেন অনেকেই। গ্রামে প্রচার শুরু করে পুলিশ। গ্রামবাসীরা জানান, পুলিশ প্রশাসনের কথা মতো অনেকেই নিজেদের পাওয়া মুদ্রা থানায় জমা দিয়েছেন। মাইনিং দফতরের আধিকারিকেরা মাটি সংগ্রহ করেছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুদ্রা গুলি হাতে তৈরি করা। কোথা থেকে এল এই বিষয়ে নিয়ে যথাযথ গবেষণার দরকার আছে বলে আধিকারিকদের মত।

পারকান্দি গ্রামের লোটন মাল, জয়দেব মালরা বলেন, ‘‘যাঁরা মুদ্রা পেয়েছিলেন সকলেই থানায় জমা দিয়ে আসছেন। কারণ প্রাচীন মুদ্রা সংরক্ষণের প্রয়োজন আছে। এ দিন ছয়টি মুদ্রা থানায় জমা দিয়েছি।’’ বিডিও (মুরারই ১) প্রণব চট্টরাজ বলেন, ‘‘পুলিশি প্রহরায় রাখা হয়েছে জায়গাটি। কোনও প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া যায় কি না সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Murari gold coin

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy