এস সি চক্রবর্তী মেমোরিয়াল পদক পেলেন অধ্যাপক সুনীতিকুমার পাঠক। ২১১৬ সালে প্রাচীন ভারতীয় ভাষার শিক্ষাচর্চা ও প্রচার-প্রসারে অবদানের জন্য তাঁকে সংবর্ধনা দেয় এশিয়াটিক সোসাইটি। বিশ্বভারতীর সংস্কৃত এবং ইন্ডো-তিব্বতি ভাষার সহযোগিতায় শান্তিনিকেতনের ভাষাভবনে শনিবার সন্ধ্যার ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল এশিয়াটিক সোসাইটি।
ভাষা, শিক্ষার প্রচার ও প্রসার শুধু নয়, অধ্যাপক পাঠকের শিশু সাহিত্যের জন্য অবদান নিয়েও আলোচনা হয় অনুষ্ঠানে। শিশু সাহিত্যিক ও গায়ক ব্রহ্মচারী অতুলকৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে সুনীতিবাবুর নিরলস শিশু সাহিত্য চর্চার বিষয় তুলে ধরেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র। উদ্যোক্তাদের পক্ষে এশিয়াটিক সোসাইটির সম্পাদক এস বি চক্রবর্তী হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে।
১৬ মার্চ ১৯৫৩ সালে বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন অধ্যাপক সুনীতিবাবু। ২০০৭ সালে তিনি আদর্শ শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। এ যাবৎ তাঁর প্রায় তিনশো প্রবন্ধ এবং ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। রাহুল সংস্কৃতায়ন তিব্বতি অভিধানের রচয়িতা অধ্যাপক পাঠক পেয়েছে বহু পুরস্কার। শুধু তাই নয়, বিখ্যাত নৃতত্ববিদ ভেরিয়ার এলউইন সঙ্গে কাজ যেমন করেছেন তেমনই কাজের জন্য অরুণাচল প্রদেশ, লাদাখ, তিব্বতে কেটেছে জীবনের বহু কাল। তাঁর গবেষণায় উঠে এসেছে ভারত ও তিব্বতের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির কথা। পাশাপাশি স্পষ্ট আছে উভয় দেশের মধ্যে বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্ম কি ভাবে নতুন সাংস্কৃতিক বাতাবরন তৈরি করে। দেরিতে হলেও, এমন প্রতিভার অধিকারীকে সংবর্ধনা দিয়ে কার্যত প্রতিষ্ঠান গর্বিত বলে নিজের বক্তব্যে জানান এশিয়াটিক সোসাইটির সম্পাদক এস বি চক্রবর্তী। অধ্যাপক মনতোশ মণ্ডল ও তেনজিং সেডুপের তিব্বতি ভাষায় স্তোত্র পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ভাষাভবনের অধ্যক্ষ কৈলাশ পট্টনায়ক প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy