Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

এগিয়ে ছেলেরা, কমল পাশের হারও

জেলা  থেকে এ বারে ৮৪.০৬ শতাংশ ছাত্র পাশ করেছে এবং ৭৩.৮৬ শতাংশ ছাত্রী পাশ করেছে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায়
বোলপুর শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ০০:৫৪
Share: Save:

জেলায় পাশের হারে ছাত্রীদের টেক্কা দিল ছাত্রেরা। শুধু তাই নয়, জেলায় প্রথম ১০ স্থানাধিকারীর যে তালিকা হয়েছে, তাতে ২২ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা মাত্র দু’জন। তবে হতাশাজনক হল পাশের সামগ্রিক হার। রাজ্যে পাশের হার যেখানে ৮৬.০৭ শতাংশ, সেখানে জেলার পাশের হার ৭৩.৭৫ শতাংশ! প্রায় ১৩ শতাংশ কম।

মঙ্গলবার ২০১৯ সালের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা লক্ষাধিক বেশি। জেলায় সংখ্যাটা চার হাজারের কিছু বেশি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর বীরভূম থেকে মাধ্যমিকের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ১৭ হাজার ৮৪ জন ছাত্র, ২১ হাজার ৭৩৩ জন ছাত্রী। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৭৩ জন ছাত্র এবং ২১ হাজার ৭২৯ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। জেলা থেকে এ বারে ৮৪.০৬ শতাংশ ছাত্র পাশ করেছে এবং ৭৩.৮৬ শতাংশ ছাত্রী পাশ করেছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

জেলায় সার্বিক পাশের হারে ছাত্রীরা পিছিয়ে গেলেও বোলপুর মহকুমার বেশ কয়েক’টি কো-এড স্কুলে ছাত্রদের টেক্কা দিয়েছে ছাত্রীরা। আলবাঁধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্ণকাম চট্টোপাধ্যায় জানালেন, স্কুল থেকে এ বছর সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে রিয়া সাউ। প্রাপ্ত নম্বর ৬০৯। স্কুলের সপ্তম স্থান পর্যন্ত রয়েছে ছাত্রীরাই। অষ্টম স্থানে রয়েছে ছাত্র। একই ভাবে শ্রীনন্দা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে শুচিতা দাস (৫৩৫)। বেড়গ্রাম পল্লি সেবানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেহেরুন্নেসা খাতুন (৬৫৩), বাহিরী ব্রজসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ভূমিকা রায় (৬৪৬), দ্বারোন্দা চণ্ডীমাতা বিদ্যালয় থেকে তৃপ্তি লাহা (৪০২) স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। আলবাঁধা স্কুল সূত্রের খবর, পরীক্ষা দিয়েছিল ১২৭ জন। এক জন বাদে সবাই পাশ করেছে। মেয়েরা ভাল ফল করায় খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিচ্ছিন্ন ভাবে ভাল ফল হয়েছে জেলার আরও কিছু স্কুলে। বাহিরী ব্রজসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপকুমার মণ্ডল মনে করেন, ‘‘ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এখন অনেক বেশি সচেতন। পড়াশোনায় মনযোগ বেশি। তাই মেয়েদের ফল ভাল হচ্ছে।’’

কিন্তু, জেলায় সার্বিক ভাবে মেয়েদের পাশের হার কম দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে স্কুল শিক্ষার খোঁজখবর রাখেন এমন অনেকের। এঁদের মতে, এর পিছনে আর্থ-সামাজিক বা পারিবারিক কারণ থাকতে পারে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বীরভূম জেলা আহ্বায়ক প্রলয় নায়েক বলেন, ‘‘জেলায় ছাত্রীদের পাশের হার কম হলেও অন্য বারের চেয়ে বেশি। কী ভাবে তা আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE